গল্পঃ- 😜😜ঝগড়াটে ভালোবাসা 😜😜
পর্ব ০৩
(💘💘মোঃআসাদ রহমান💘💘)
কোটচাঁদপুর,ঝিনাইদহ
:কিছু একটা পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি মনে হয়😜(রাফিদ)
:তুই😡,তুই এইখানে কেনো এসেছিস(সাফা)
:আমার বাবুর আম্মুর কাছে আমি আসব না তো কে আসবে শুনি(পাশে বসতে বসতে রাফিদ বললো)
:একদম আলগা পিরিত দেখাতে আসবি না বলে দিলাম।
কেনো এতোক্ষন যাদের সাথে ঢলাঢলি করছিলি তাদের গিয়ে আলগা পিরিত দেখা যাহ।আমার কাছে কেনো আসলি।
লুচ্চা পোলা😡(সাফা)
:কেনো তুই কি jealous feel করছিস নাকি রে 😜😜(রাফিদ)
:হুহ,আমার বয়েই গেছে jealous feel করতে।যা না যা।আরো বেশি করে ঢলাঢলি কর।(এই বলে সাফা সেইখান থেকে চলে গেলো)
★
আর পুকুর পাড়ে বসে বসে রাফিদ ভাবতে লাগলো,
যাক ঔষুধে তাইলে কাজ দিয়েছে।
ও যখন আমাকে অন্য মেয়েদের সাথে দেখে jealous হচ্ছে তার মানে আমার জন্য ওর মনে একটু হলেও জায়গা রয়েছে।এখন আরও কড়া করে একটা ডোজ দিতে হবে যাতে করে সাফা পাগলি ওর ভালোবাসার কথা নিজের মুখে শিকার করে।😜😜
★
অন্যদিকে সাফা ভাবছে,
ভালোবাসার কথা বলে বেড়াবে একজনকে,আর ঢলাঢলি অন্যদের সাথে।যেই আমার কাছে কোনো পাত্তা পায় নি,অমনি উনি অন্যদের কাছে চলে গেছে।এই নাকি তার ভালোবাসা।রাফিদের ব্যবহারে এই মুহুর্তে সাফার যেমন রাগ হচ্ছে ঠিক তেমনি কষ্টও লাগছে।সাফার বার বার মনে হচ্ছে রাফিদ ওর থেকে দূরে সরে যাবে না তো।
সাফার মনে শুধু একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে,
:রাফিদকে যদি আমি না পাই তাহলে আমি মরে যাবো।
ওর ভালোবাসার পরীক্ষা নিতে গিয়ে যে এমন হবে তা আমি ভাবতেও পারি নি।
এখন আমার ভ্যলের জন্য আমি রাফিদকে হারাতে বসেছি।(সাফা এইগুলো ভাবছে আর চোখের জল ঝরাচ্ছে)
আর রাফিদ ভাবছে,
:ইশশশশ,ভাঙবে তবু মচকাবে না।ভালোবাসিস বললেই তো হয়।
আজকের এই ডোজটা না দিলে তো বুঝতেই পারতাম না যে পাগলিটাও আমাকে ভালোবাসে।
নাহ আর বেশি কষ্ট দিবোনা পাগলিটাকে।(রাফিদ এইসব ভাবছে আর হাসছে)
★
অন্যদিকে সাফা রাফিদের কথা ভেবে ভেবে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে কান্না কাটি করে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে।আর ভাবছে কালই অরে বলে দিবো যে আমিও অরে ভালোবাসি।অনেক বেশি ভালোবাসি।এইসব ভাবছে আর লজ্জায় দুই হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলছে,
:ইশশশশ আমি কি করে আমার নিজের মুখে রাফিদকে বলবো আমার ভালোবাসার কথা।আমার বুঝি লজ্জা লাগে না🙈🙈(সাফা)
:যত যাই হোক না কেনো অরে আমার ভালোবাসার কথা বলতেই হবে।আমি রাফিদকে হারাতে চাই না।নাহ এখন বেশি না ভেবে ঘুমিয়ে পড়ি কালকে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে একটু সাজুগুজু করতে হবে।কেনোনা কালকে আমার পাগলটাকে আমার ভালোবাসার কথা বোলবো।😊😊😊(সাফা)
★
খুব সকালে সাফা ঘুম থেকে উঠে রাফিদের পছন্দের সবুজ রঙ এর একটা শাড়ি পরে,হাতে কিছু কাচের চুরি,চোখে হালকা কাজল,ঠোটে হালকা লিপ্সটিক দিয়ে তৈরি হয়ে কলেজে চলে গেলো।তারাহুরার কারনে সাফা সকালের নাশতাও করে নি।
কলেজের গেট দিয়ে ঢুকেই সাফা যা দেখলো তাতে যেনো সাফার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো,সাফা ভাবতেই পারছে না।ও কি তাহলে রাফিদকে হারাতে বসেছে(দৃশ্যটি দেখে সাফা অঝর ধারায় কাদতে লাগলো)...................
কলেজে ঢুকেই সাফা দেখতে পেলো রাফিদ একটা মেয়ের হাত ধরে বসে হাসাহাসি করছে।আর মেয়েটা কিছুক্ষন পরপরই হাসতে হাসতে রাফিদের গায়ের উপর পরে যাচ্ছে।এই দৃশ্য দেখে সাফার যেমন কষ্ট হলো,ঠিক তেমনি অনেক রাগও হলো। সাফা আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে রাফিদের সামনে গিয়ে দারাললো।
:বাহ ভালোতো,খুব ভালো।
ভালোবাসি বলে বেড়াবে একজনকে আর ঢলাঢলি আর একজনের সাথে।(সাফা)
:মুখ সামলে কথা বল সাফা।
তুই কিছু না জেনেই একজনকে এইভাবে বলতে পারিস না।(সাফা)
:আমি কি মুখ সামলাবো রে?আগে তুই নিজেকে সামলা😡😡
আর এই মেয়ে,তোর লজ্জা করে না?কলেজে এসে অন্য একটা ছেলের সাথে ঢলাঢলি করতে? (সাফা)
:শাফাআয়ায়ায়ায়া,
ঠাশশশশশশশশশ।
কি মনে করিস নিজেকে তুই,যখন যাকে যা মন চাইবে তাই বলবি নাকি?
এতোদিন তোকে ভালোবাসি ভালোবাসি বলে তোর কান ব্যাথা করে ফেলছি।কই তখন তো তুই আমার ভালোবাসা গ্রহন করিস নাই।তাইলে এখন কেনো জ্বলছে?😡?মানুষের সহ্যের একটা লিমিট থাকে।
যা তুই আমার সামনে থেকে(রাফিদ)
:(গালে হাত দিয়ে সাফা অবাক নয়নে রাফিদের দিকে তাকিয়ে আছে।আর ভাবছে একটা মেয়ের জন্য রাফিদ অর গায়ে হাত তুলতে পারলো)খুব জালাই তোকে তাই না?
ঠিক আছে আর কখনো তোকে জ্বালাতে আসবো না।মাফ করে দিস।এই বলে সাফা সেইখান থেকে কাদতে কাদতে চলে গেলো।
★
অন্যদিকে রাফিদ ভাবছে,এ আমি কি করলাম,আমি সাফার গায়ে কিভাবে থাপ্পর মারলাম?
নাহ এইটা একদম ঠিক হয়নি।না যানি পাগলিটা কতটা কষ্ট পাচ্ছে।ইশশশশশ কি সুন্দর করে সেজে কলেজে এসেছিলো।কিন্তু আমার জন্যই সব মাটি হয়ে গেলো।
:নাহ সাফাকে এক্ষুনি সরি বলতে হিবে আমাকে(রাফিদ)
পরক্ষনেই ভাবলো,
এখন বাসায় গেলে নির্ঘাত আমার কপালে শনি আছে।তাই আজকে আর বাসায় যাবো না,পরিস্থিতি একটু ঠান্ডা হলে বাসায় যাওয়ার কথা ভাবা যাবে।এই বলে রাফিদ সেইদিন রাতটা অর এক বন্ধুর বাসায় কাটায়।
★
একটা মেয়ের জন্য রাফিদ আমাকে মারতে পারলো?
কোথায় ভেবেছি আজকে অরে আমার ভালোবাসার কথা জানাবো,সেখানে উনি আমাকে থাপ্পর মারলো।
:তোরে যদি আমি না পাই,তাহলে আমি তোকে অন্য কারো হতেও দেবো না।এই সাফার সাথে নো হাংকি পাংকি।হুহহহহহহহ😡(সাফা)
পরেরদিন সকালে,
★
ক্রিং ক্রিং ক্রিং
সূর্য আজ কোনদিক দিয়ে উঠলো?
যে বাপ নিজের কাজ ছাড়া কিছু বুঝে না সে আজ হঠাৎ আমাকে ফোন করেছে?😱😱
:আসসালামুয়ালাইকুম আব্বু(রাফিদ)
:ওয়ালাইকুমাসসালাম,তুমি কোথায় শুনি?(আব্বু)
:(এইরে এখন কি বলি)জি মানে আব্বু আ-আ-আমি
:কি আমি আমিমি করে তোতলাচ্ছ,কোথায় আছো সেইটা বলো?(আব্বু)
:আব্বু আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় আছি(অনেকটা ভয়ে ভয়ে বললো রাফিদ)
:কেনো তোমার কি নিজের বাড়ি নেই নাকি?
১০ মিনিট টাইম দিলাম।এর মধ্যে আমি তোমাকে বাসায় দেখতে চাই।(আব্বু)
:অকে আব্বু(রাফিদ)
★
আল্লাহ মালুম,পাগলিটায় বাসায় কি বলেছে।আল্লাহ এইবারের মত আমাকে বাচাই দিও।বাসায় গিয়ে ভয়ে ভয়ে কলিং বেল চাপলো রাফিদ।
দরজা খুলে দিলো রাফিদের আম্মু,
:আব্বুই কই আম্মু(রাফিদ)
:ভিতরে আয়(গম্ভিরভাবে কথাটা বোললো আম্মু)ভিতরে গিয়ে তো আমি অবক।😱😱আব্বু-আম্মু,সাফার আব্বু-আম্মু বিসে আছে।
আর সাফাকে দেখলাম আব্বুর পাশে বসে কাদছে।
:কি হইলো ব্যপারটা।সাফা কাদছে কেনো?
আল্লাহ তুমি রক্ষা করো।না জানি আব্বুকে কি কি বলছে এই মেয়ে(মনে মনে)
আব্বু উঠে এসে সজরে আমার গালে একটা থাপ্পর মারলো।আর তা দেখে সাফা মিটিমিটি হাসছে
:তোকে পরে মজা দেখাবো বান্দর মেয়ে(মনে মনে বললো রাফিদ)
:কুলাঙ্গার ছেলে কোথাকার,এই শিক্ষা আমি তোকে দিয়েছি।কেনো করলি মেয়েটার সাথে এমন😡😡।(আব্বু)
:আমি কি করলাম বলবা তো(রাফিদ)
:কেনো তুই জানিস না তুই কি করেছিস?(আব্বু)
:জানলে কি আর তোমাদের জিজ্ঞেস করতাম?(রাফিদ)
:একদম নাটক করবি না।
তুই মেয়েটার সাথে ভালোবাসার নাটক করে মেয়েটাকে ঠকাস নি?😡😡(আব্বু)
★
আব্বুর এইসব কথা শুনে আমি বলার মত ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।আমার মাথা ভন ভন করে ঘুরছে।আর এরপর যা শুনলাম তা শুনে আমার জ্ঞান হারানোর মত অবস্থা।😲😲😲😲😲😲
সাফা বাড়ির সবাইকে কি বলেছে তা কি আপনারা জানতে চান?
তাহলে অপেক্ষা করুন পরবর্তী পর্বের জন্য😜😜
চলবে...........
((গল্পটা পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করুণ))
বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯
ঝগড়াটে ভালোবাসা
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন