গল্পঃ- 😍সমবয়সী ভাবি যখন বউ😍
পর্ব ০২
😍মোঃআসাদ রহমান😍
😍কোটচাঁদপুর,,ঝিনাইদহ😍
গত পর্বের পর থেকে,,,,,,
প্রায় ৪ ঘন্টা জার্নির পরে বাসায় পৌছালাম,,বাসার সামনে গিয়ে কলিং বেল বাজাতেই আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো,,
আম্মুঃ কেমন আছিস আব্বু?? কেমন সুকিয়ে গেছিস ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করিসনা নাকি??
আমিঃ আম্মু আমি অনেক ভালো আছি,,আর আমি মটেও সুকাই নাই,,,,বরং একটু মোটাই হয়ে গেছি,। আচ্ছা আম্মু তুমি কেমন আছো?
আম্মুঃ আমিও ভালো আছি। আচ্ছা দরজায় দাঁড়িয়ে কথা বলবি নাকি ভেতরে আসবি?
আর তোরেনা বলছিলাম তোর দুই বান্দরকেও নিয়ে আসিস?
আমিঃ হুম ভেতরেতো যাবই। আর আমার বান্দর গুলো আছে,,,অই দেখো আসতেছে,,ভাইয়ার বিয়ের কথা সুনে ইনেক খুশি হইছে।
আম্মুঃ হুম ভালো,,,
অন্ততঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি,,কেমন আছেন?
আম্মুঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম,,তা বাবা তোমরা কেমন আছো??
দুইজন একসাথেইঃ হ্যা আন্টি আমরা ভালোই আছি,,আর একটু বেশিই ভালো আছি,,কারন ভাইয়ার বিয়ে বলে কথা।
এরি মধ্যে আমার কিউট কিউট দুইটা বোন এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতেছে ,
ছুমাইয়াঃ (আমার ছোট বোন ইনি ৩ নম্বার জন😇) ভাইয়া কেমন আছেন??
আমিঃ এইতো ভালো আছি,,তুই কেমন আছিস??
সুমাইয়াঃ আমিও ভালো আছি।
অইদিকে সুরাইয়া মানে আমার একদম ছোট বোন সেতো আমারে জরাই ধরে কেদেই দিলো।
সুরাইয়াঃ ভাইয়া কেমন আছিস?? আর আমারে ভুলে তুই কেমনে থাকিস? আমার কথাকি তোর মনে পড়ে না?? কেদে কেদে বলতেছে,,
আমিঃ আরে পাগলি কাদছো কেন? আর আমিতো ভালোই আছি,,তুমি কেমন আছো?
সুরাইয়াঃ এতখন ভালো ছিলাম না,,এখন ভালো আছি,। আচ্ছা চল ভিতরে চল।
আম্মুঃ হ্যা। আচ্ছা আসো ভিতরে আসো।
আমরা ভিতরে আমার রুমে গিয়ে বসলাম,,একটু রেস্ট নিয়ে ফ্রেস হয়ে রুম থেকে বের হইলাম।
আমিঃ আম্মু কই গেলা খুদা লাগছেতো😢
আম্মুঃ এইতো রান্না ঘরে আছি আমি,,হয়ে গেছে আমার। তুই ওদের নিয়ে টেবিলে বোস আমি আসতেছি।
আমিঃ আচ্ছা
একটু পরে আম্মু খাবার নিয়ে আসলো,,আর আমরা একসাথেই খেতে বলসলাম,,
আমিঃ আচ্ছা আম্মু আব্বু কোথায়??
আম্মুঃ তদের আব্বুতো একটু বিজনেসের কাজে বাহিরে গেছে,,,চলে আসবে দুই তিন দিনের মদ্যেই।
আমিঃ ওহ আচ্ছা,,
তা সুমাইয়া তোর লেখা পড়া কেমন চলতেছে?
সুমাইয়াঃ এইতো ভাইয়া ভালোই চলতেছে,,(SSC পরিক্ষার্থী)
আমিঃ হুম ভালো করে পড়িস ,,আর মাত্র কয়েক মাস বাকি ssc, পরিক্ষার
সুমাইয়াঃ আচ্ছা ভাইয়া।
আমিঃ তা সুরাইয়া আপনার কি খবর বুড়ি??
সুরাইয়াঃ ওই আমারে বুড়ি বলবিনা বলে দিলাম,,,আর আমার পড়া অনেক ভালো,,সুমাইয়ার থেকেও।(ক্লাস টু তে পড়ে)
সুমাইয়াঃ নারে ভাইয়া,,ওর পড়া লেখা একদমি ভালো না,,এইবছরে একটায় ফেল করছিলো,,স্যার আমারে চিনে তাই স্যাররে বইলা পরের ক্লাসে উঠাই দিছি,,
সুরাইয়াঃ (একেবারে কেদেই দিলো বেচারী,) ভাইয়া মিত্যা কথা,,আমি অনেক ভালো,,ও মিথ্যা কথা বলতেছে,,আমি মাত্র একটা বিষয়ে ফেল করছি😭😭
আমিঃ আচ্ছা আচ্ছা কান্তে হবে না। আমিতো জানি আমার বুড়িটা অনেক ভালো ছাত্রী,,সে মাত্র একটা বিষয়ে ফেল করছে, কিছুই হবে না, সামনের বার সে সব গুলোয় পাস করবে,,এইবার বার টু তে অনেক ভালো করবা তাইনা?
সুরাইয়াঃ হুম ভাইয়া😇
আমিঃ হুম আচ্ছা,,ভাইয়া তুমি খাও😍
আম্মুঃ ওই তোরা খা কথা কম বল😡
তারপরে খেয়ে আমরা রুমে আসলাম,,বিকালের দিকে আমরা ঘুরতে বের হলাম,,আমার কিছু এলাকার বন্ধুর সাথে বসে আড্ডা দিয়ে রাত ১০ টায় বাসায় আসলাম,,তারপরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুম দিলাম,,এইভাবে ৩ দিন পার করলাম,,এর মধ্যে ভাইয়ারে কল করে বাসায় নিয়ে আসা হলো,,ভাইয়া ঢাকায় একটা সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করে,
দেখতে দেখতে গায়ে হলুদের দিন চলে আসলো,,
সন্ধায় ভাইয়ার গায়ে হলুদ এর সময় একটা মেয়ের দিকে চোখ পড়লো,,একটা হলুদ কালারের শাড়ী পরে আমার দিকেই আসতেছে,,মেয়েরে দেখেই ছোট্ট করে একটু ক্রাস খেলাম, হলুদ শাড়ীতে যা লাগছে না, মনে হচ্ছে প্রথম দেখাতেই ভালোবেশে ফেললাম,,আমার সামনে এসে সোজা আমার মুখে হলুদ মাখাই দিলো,,আমিও কম যাই কিসে আমিও হলুদ নিয়ে ওরে দিলাম মাখিয়ে,,আবার আমারে দিলো এইবার আমি দিয়ে দৌড় দিলাম এসে সুমাইয়ার পেছনে দিয়ে যাইতেছিলাম সুমাইয়া আমার সামনে এসে দাড়াইলো সুমাইয়াও হলুদ মাখিয়ে দিলো,,তখনি অই মেয়েটা আমার সামনে চলে আসছে, আর মেয়েটা সামনে আসতেই সুমাইয়া বল্লো,,
সুমাইয়াঃ আরে মিথিলা (অই মেয়েটার নাম) তোর এই অবস্থা হলো কি করে?
মিথিলাঃ এইযে আপনার ভাইয়ার জন্যে😇
সুমাইয়াঃ ওহ ভাইয়া আপনারেতো বলাই হয় নাই,,এর নাম মিথিলা আমার বেস্টু,,
আমিঃওহ ইনি তাহলে তোর বেস্টু?
মিথিলাঃ জি ভাইয়া,, তো ভাইয়া কেমন আছেন?
আমিঃ (ভাইয়া??) হুম ভালো আছি,,তুমি কেমন আছো?
মিথিলাঃ আমিও ভালোই আছি,,তো ভাইয়া আপনার বড় ভাইয়ার তো হয়ে গেলো আপনার কবে হবে??
আমিঃ হবে সময় হলেই হবে,😇😇
মিথিলাঃ কিহ আপনার এখনো সময় হয় নাই??
আমিঃ কই নাতো,,আমিতো এখনো ছোট আছি। বড় হয়ে নেই তারপরে করবো😇😇
মিথিলাঃ হ্যা,,সেতো দেখাই যাচ্ছে আপনি কত্তো ছোট,
আমিঃ হুম
দেখতে দেখতে গায়ে হলুদের পর্ব শেষ হলো,,রাত ১০ টায় আমি ভাইয়া আর আমার দুই বান্দর মিলে ছাদে গেলাম গল্প করার জন্য,,ছাদে চেয়ারে কিছুক্ষন নিরবতা পালন করলাম,,একটু পরে ভাইয়া বলতে শুরু করলো,,
ভাইয়াঃ আকাশ ভাই আমার আমারে বাচা,,আমি এই বিয়ে করতে পারবো না। তুইতো সুমির বিষয়ে যানিস, অরে ছাড়া আমি বাচতে পারবো না,,তুই কিছু একটা কর ভাই😭😭😭😭
আমিঃ ভাইয়া আমারে বলতেছো কেন? আম্মুকে বলতে পারোনাই কেন?
ভাইয়াঃ ভয়ে বলতে পারি নাই,,প্লিস ভাই তুই কিছু একটা কর,,আমারে বাচা,,আর যদি তুই কিছু না করিস তাহলে আমি এখন বলতেছি,,আমি আজকে রাত্রি সুইসাইড করবো😢😢
আমিঃ😲😳 কি বলতেছো ভাইয়া,,তুমি কি পাগল হয়ে গেছো?
ভাইয়াঃ হুম আমি পাগল হয়ে গেছি,,সুমিরে ছাড়া আমি আর কাউকেই ভাবতে পারি না😭😭😭
আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি কিছু একটা করতেছি,,তারপরেও পাগলামো করো না,,
আমিঃ তুমি একটা কাজ করতে পারো ভাইয়া,,আজকে রাতেই পালাই যাও,,পরে যা হবাই সেইটা দেখা যাবে😇
ভাইয়াঃ কিন্তু ভাবে?
আমিঃ সেইটা আমি কি জানি। এমনিতেই তুমি আম্মুর ভয়ে কিছুই বলতে পারবা না। আর তাছাড়া সুমি আপুকে ছাড়াও তুমি থাকতে পারবা না,,,তাই যা করার তোমাকেই করতে হব্বে। আর আমি তোমারে কিছু বলতে গেলেই আমি ফেসে যাবো,,ভাই তার কোনো দরকার নাই,,নিজের কাজ নিজেই করো।
ভাইয়াঃ আচ্ছা দেখি। আর কিছু হেল্প লাগলে বলবানি,,প্লিস ভাই না করিস না।
আমিঃ আচ্ছা সেটা নাহয় ভেবেদেখা যাবে। কিন্তু ভাইয়া তোমাকে একটা কথা বলার ছিলো,
ভাইয়াঃ হ্যা বল।
আমিঃ ভাইয়া তুমি পালাই যাইয়ো না,,আম্মুর তোমার উপর অনেক বিশ্বাস। প্লিস ভাইয়া সেইটা তুমি নষ্ট করো না। তাহলে আম্মু অনেক কষ্ট পাবে।
ভাইয়াঃ হুম তুই যা বলতেছিস তা সবি সত্যি। কিন্তু এইটাও সত্যি যে আমি সুমি কে ছাড়া বাচতে পারবো কিনা যানি না,,তবে অনেক কষ্ট হবে। আর আমাকে এই কষ্ট সারা জীবন বয়ে বেড়াইতে হবে। আচ্ছা তুইকি চাস আমি সারা জীবন এইভাবে কষ্টে থাকি??
আমিঃ (বেটা ইমোশনাল কথা বলা শুরু করছে) 😰😰 না ভাইয়া আমি তা কক্ষনোই চাই না। কিন্তু ভাইয়া আমাদের একটু সুখের জন্যে কি আব্বু আম্মুরে কষ্ট দেওয়া ঠিক হবে?
ভাইয়াঃ তা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু আমি এখন কি করবো তুই বলে দে ভাই।
আমিঃ আমি বলিকি ভাইয়া তুমি আম্মুরে একবার বলেই দেখো আম্মু কি বলে।
ভাইয়াঃ আমি বলছিলাম। কিন্তু আম্মু কোনো ভাবেই সুমিকে মেনে নিবে না। বলছে আম্মু নাকি আন্টিকে কথা দিয়ে ফেলছে। এখন সে না করতে পারবেন না। তাই আমাকে নাকি সুমিকে ভুলে যেতে হবে😭😭
আমিঃ আচ্ছা ভাইয়া সান্ত হও। আর আম্মুর কথা মেনে নাও। এতে তোমারি ভালো হবে। আর আম্মুও খুশি হবে।
ভাইয়াঃ হুম দেখি কি করা যায়। তবে একটা কথা সত্যি আমি সুমিকে কোনো দিন ভুলতে পারবো না। বিয়ে যদিও এই মেয়ের সাথে হয়ে যায় তারপরেও আমি সুমিকে ভুলতে পারবো না।
আমিঃ আচ্ছা দেখো তোমার যা ভালো মনে হয় করো। আমার ঘুম আসছে। আমি গেলাম
ভাইয়াঃ আচ্ছা যা। আমিও যাবো একটু পরেই।
আমিঃ আচ্ছা। গুড নাইট।
তারপরে চলে আসলাম রুমে। রাত বাজে ১২ টা। একটু ঘুমেও ধরছে বটে। তারপরেও ফেবু তে ধুকে আপনাদের জন্য গল্প লিখতে বসলাম। গল্প লিখতে লিখতে ২ টা বেজে গেছে। তারপরে ঘুমাই গেলাম😴😴😴
সকালে কারোর চিল্লা চিল্লিতে ঘুম ভেংগে গেলো। দরজা খুলে বাহিরে আসলাম। দেখি আম্মুর মুখ কালো হয়ে আছে। কিছুই বুঝতেছিনা কি হইছে। সবারি একি অবস্থা। সুমাইয়ারে ডাক দিলাম,,,
আমিঃ কিরে কি হইছেরে? সবাই এমন করে আছে কেন? আর আম্মুর কি হইছে?
সুমাইয়া কোনো কথা না বলে একটা চিরকুট হাতে ধরিয়ে দিলো। চিরকুটটা পড়ার পরে আমারতো নিজেই নিজেকে মারতে মনে চাইতেছে,,তাতে লিখা ছিলো,,
প্রিয় আম্মু
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
চিঠিটা লিখার কারন হচ্ছে,,আম্মু তুমিতো জানোই কমি সুমিকে ভালোবাসি আমি ওরে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারি না, রাত্র যখন ঘুমকিতে গেলাম তখন আমার মনে হচ্ছিলো আমি আমার জীবনের অনেক বড় কিছু একটা হারিয়ে ফেলতে যাইতেছি। আমি তুমিই বলো যাকে এতোটা ভালোবাসি তাকে ছাড়া সারাটা জীবন থাকবো কিভাবে? তাই তোমাকে, তোমাদের সবাইকে কষ্ট দিয়ে আমি চলে যাচ্ছি। প্লিস আম্মু আমাকে ক্ষমা করে দিও।
ইতি তোমার অবাধ্য ছেলে
#পারভেজ
আমি চিঠিটা পড়ার পরে নিজেকে নিজেই গালি দিতে মনে চাইতেছে। সালার কালকে যদি আমি ভাইয়াকে মজা করে না বলতাম পালিয়ে যাওয়ার কথা তাহলে আর আজকে এইদিন দেখতে হইতো না। এখন কি করি আমি। আম্মু যদি যান্তে পারে যে এই কাজের জন্য আমি দ্বায়ি তাহলে আমার জীবন শেষ। আল্লাহ আমারে রক্ষা করো। এর মধ্যে আন্টির বাসায় বলে দেওয়া হয়েছে যে ভাইয়া পালাইছে। ওইদিকেতো আম্মুকে আন্টি সেইরকম ঝাড়তেছে।
একটু পরে আম্মুকে দেখলাম উঠে রুমের দিকে গেলো। আমি আর এখন কি করবো তাই অন্তর আর এনামুলরে নিয়া ছাদে গেলাম ব্রাশ করতে করতে। আর তখনি সুমাইয়া পেছন বলতেছে আম্মু নাকি আমারে তার সাথে দেখা করতে বলতেছে,,,
আল্লাহ এখন আমি কি করি? তাহলেকি ভাইয়ার পালানোর কথা আম্মু যেনে গেলো নাকি? আজকে তাহলে আমি শেষ। আল্লাহ এইবারের মতো আমারে বাচাই দাও আর কোনো দিন কারোর উপকার করবো না।
ভয়ে ভয়ে আম্মুর রুমের সামনে গিয়ে আম্মুকে ডাক দিলাম,
আমিঃ আম্মু আসবো? আমাকে ডাকছিলা নাকি?
আম্মুঃ হুম আয় কথা আছে।
আমিঃ (আল্লাহ বাচাও🙏🙏🙏) হ্যা আম্মু বলো কি বলবে।
আম্মুঃ আমি একটা ডিসিশন নিছি। আসা করি তুমি আমার কথা একমত হবে।
আমিঃ (যাক আল্লাহ বাচাইলা তাহলে,,মনে হয় ভাইয়ার বেপারটা জানে না) হ্যা অবশ্যই আম্মু তুমি যা বলবে তার সাথেই আমি একমত।
আম্মুঃ আগে আমার মাথা ছুয়ে কথা দে যে আমি যাই বলবো তুই রাখবি?
আমিঃ আম্মু এইরকম করে বলতেছো কেন? আচ্ছা বলো তুমি আমি রাখবো।
আম্মুঃ না তুই আগে আমার মাথা ছুয়ে কথা দে।
আমিঃ আচ্ছা এই ধরলাম। এখন বলো আম্মু,,তুমি যাই বলবে আমি তাই করবো,
আম্মুঃ কথাটা হলো,,
আমিঃ হ্যা বলো
আম্মুঃ আমি তোর সাথে নিপার (আম্মুর বান্ধবীর মেয়ের নাম) বিয়ে দিতে চাই। তুই কিন্তু কথা দিছিস।
আম্মুর কথাটা শুনার সাথে সাথে মনে হলো আমি মাটির ভিতরে ঢুকে যাইতেছি। আম্মু এইটা কি বল্লো? এইটা কিভাবে সম্ভব? আমার মুখ দিয়ে একটা কথা বলার মতো শক্তি নাই। কি ভাবছিলাম আর কি হয়ে গেলো?
আমিঃ,,,,,,,,,,,,,😲😱😲😲
আম্মুঃ কিরে কিছু বলিস না কেন? আমার কথাটা রাখবিতো?? আমাকে তোর আন্টির সামনে মুখটা রাখবিতো??
আমিঃ,,,,,,,
আম্মুঃ তোর ভাইয়া চলে যাওয়ার কথা শুনে তোর আন্টি আমাকে অনেক কথা শুনাইছে,,আর আজকে যদি এই বিয়েটা না হয় তাহলে আমার আর বেচে থাকা আর না থাকা সমান কথা হবে। এখন তুই দেখ কি করবি তুই।
আমিঃ (আম্মুর মুখে মরার কথাটা শুনে নিজের চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলাম না) আম্মু তুমি যা বলবে তাই হবে। তবুই প্লিস তুমি এইসব কথা আর বলো না। আমি বিয়ে করবো।
আম্মুঃ 😬😬😇😇 আমাকে বাচালি বাবা। আজকে এই বিয়েটা না হলে হয়তো তোর আন্টির কাছে আমি সারা জীবনের জন্য অপরাধী হয়ে থাকতাম।
আমিঃ আচ্ছা আম্মু ঠিক আছে তুমি যা বলবে তাই করব আমি। আমার জন্যে তোমাকে কারর কাছেই ছোট হতে হবে না।
তারপরে আম্মু বল্লো,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,চলবে
Waiting for next part.
আগের পর্ব আমার টাইমলাইনে দেওয়া আছে,,,,,,,
বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯
সমবয়সী ভাবি যখন বউ
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন