মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০১৯

অফিসের ম্যাডাম যখন গার্লফ্রেন্ড

গল্পঃ অফিসের ম্যাডাম যখন গার্লফ্রেন্ড লেখকঃ মো আসাদ রহমান , - স্যার আপনাকে ম্যাম ডাকতাছে।(কাজের ছেলে) - আচ্ছা যাও আসতাছি।(আমি) ছেলেটা চলে গেলো। হাতের কিছু কাজ ছিলো ওইগুলা সেরে গেলাম ম্যাম এর সাথে দেখা করতে। আসলে আমি চিনিনা উনাকে। আর দুদিন আগে নাকি জয়েন করছে আমি সাতদিনের ছুটিতে ছিলাম। তাই দেখিনি কখনো উনাকে। যাই হোক তার কাছে গেলাম, - ম্যাম আসতে পারি।(আমি) - আসুন মিস্টার প্রত্তয় আপনার জন্যই অপেক্ষা করতাছি।(ম্যাম) - জি বলুন কি বলবেন?(আমি) - বলবো কিন্তু তার আগে বলুন আপনাকে কখন ডাকা হইছে?(ম্যাম) - জি ম্যাম দশ মিনিট হলো প্রায়।(আমি) - দশ মিনিট আগে আপনাকে ডাকা হইছে আর আপনি এখন আসলেন কেনো?(ম্যাম) রাগ দেখিয়ে। - দুঃখিত ম্যাম আসলে হাতের কিছু কাজ ছিলো তাই আসতে একটু দেরি হইছে।(আমি)হাসি মুখে। - এখন থেকে যখন ডাকবো তখনই আসতে হবে।(ম্যাম) - আসলে আপনার বাবা যখন ছিলো তখন তো এমন হয় নাই। (আমি) - সেটা বাবার ব্যাপার এখন আমি বস সো আমার কথাই শেষ কথা?(ম্যাম) - ওকে।(আমি) - যান এখন মন দিয়ে কাজ করেন?(ম্যাম) আমি চলে আসলাম ওখান থেকে। কথার কি রকম। উনার বাবা তো এমন না অনেক ভালো ছিলো উনি এমন কেনো। যাই হোক উনিই এখন অফিসের বস উনার কথাই মেনে চলতে হবে নয়তো চাকরিটা যাবে। সেদিন আর কোনো কথা হয় নাই। আমি কাজ করে চলে আসলাম বাসায়। , আমি প্রত্তয় হোসাইন। পড়ালেখা শেষ করে একটা কোম্পানিতে চাকরি করতাছি। প্রাইভেট কোম্পানি তো তাই যখন তখন চাকরি যেতে পারে তাই একটু নিয়মের ভিতর থাকি সবসময়। , পরের দিন অফিসে যাওয়ার পথে দেখলাম একটা বৃদ্ধ মহিলা রাস্তার পাশে পড়ে আছে দেখে মনে হলো উনি অসুস্থ আশে পাশে অনেক মানুষ কিন্তু কেউ তাকে তুলছে না আর তুলবেও না কারন এটা ঢাকা শহর এখানে কারো জন্য কারো টাইম নেই। আমার মনে কেমন যেনো একটা হলো আমি গাড়ি থামিয়ে উনাকে নিয়ে হাসপাতালে আসলাম। সেখান থেকে অফিসে আসতে আসতে প্রায় এক ঘন্টা লেট হয়ে গেছে। অফিসে ডুকে একটু বসলাম এসির ঠান্ডা হাওয়াও যেনো শরিরটা ঠান্ডা করতে পারছে না কিন্তু যখন শুনলাম ম্যাম ডাকতাছে তখন বুঝলাম শরিরের ঘামগুলা অতি তারাতারি শুকিয়ে যাচ্ছে। আমি উনার কাছে গিয়ে বললাম, - আমাকে ডেকেছেন ম্যাম।(আমি) - হুমম। এতো লেট করে আসার কারন কি?(ম্যাম) - আসলে ম্যাম রাস্তায় কি হইছে...(আমি) কথাটা শেষ করতে না দিয়েই, - বুঝসি রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো তাইনা। শুনেন এটা আপনার বাসা না যে যখন তখন আসবেন এটা অফিস এখানে কিছু রুলস আছে যদি মেনে চলতে পারেন তবে অফিসে আসবেন নয়তো না ওকে।(ম্যাম) - জ্বি ম্যাম। (আমি) , তারপর আর কি পেটভরে ঝাড়ি খেয়ে কাজ করতে লাগলাম। কাজ শেষে বাসায় ফিরলাম ক্লান্ত শরিরে। মাথা ব্যাথা করছিলো তাই না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন অফিসে বসে কাজ করছি তখন আমার পাশে কাজ করা লোকটা আমাকে খোচা দিলো। কি ব্যাপার খোচা দিলো কেনো? আমি উনার দিকে তাকিয়ে দেখলাম সামনের দিকে ইশারা করছে।  আমি সামনে তাকিয়ে দেখি ম্যাম দাড়িয়ে। আমি দ্রুত দাড়িয়ে বললাম। - আসসালামু আলাইকুম ম্যাম।(আমি) উনি কোনো উত্তর না দিয়ে চলে গেলো। আমি বসে পড়লাম। ম্যাম আজকে দেরিতে আসছে তাই খেয়াল করি নাই। প্রতিদিন তো আমার আগেই আসে। সেদিন আর কিছু বললো না তবে এরপর থেকে আমার সাথে দেখা হলেই কেমন যেনো আচরন করতো। যেনো আমি উনার কত দিনের শক্র। উনি আমার সমবয়সি কোথায় ভালো বন্ধুত্ব হবে তা না সারাক্ষণ ঝাড়ির ওপর রাখে। তবে আমি আর কারো সাথে এমন আচরন করতে দেখি নাই শুধু আমার সাথেই করে কেনো যানি না। , এভাবেই দিন যাচ্ছিলো মুরশিদা ম্যাম এর ঝাড়ি খেয়ে খেয়ে। আমার মাইগ্রেন এর প্রবলেম আছে তাই মাঝে মাঝেই প্রচুর মাথা ব্যাথা করে। তেমনি একদিন অফিস থেকে বাসায় ফিরার পর প্রচন্ড মাথা ব্যাথা শুরু হলো যার জন্য বাসায় ডক্টর আনতে হয়েছে উনি বললেন দুদিন রেস্ট নিতে আর কিছু মেডিসিন দিলেন ওইগুলা খেতে। কিন্তু দুদিন অফিস না গেলে তো ম্যাম আমার অবস্থা বেগতিক করে দিবে চাকরিও যেতে পারে। তবুও কিছু করার নাই। উনার নাম্বার নাই আমার কাছে। যাই হোক চাকরি গেলে যাবে তবে আগে সুস্থ হওয়া দরকার উনাকে বুঝিয়ে বললে হয়তো বুঝবে এই ভেবে দুদিন অফিস গেলাম না। আজকে অফিস যাচ্ছি। কেমন যেনো লাগতাছে । অনেক ভয় করতাছে। অফিসে গিয়ে বসলাম। কিছুক্ষন পর যেটা হওয়ার সেটাই হলো ,কাজের ছেলেটা ডাকতে এলো আমি যাচ্ছি বলে বসলাম। ওদিক থেকে পাশে কাজ করা মেয়েটা কেমন করে যেনো হাসলো মানেটা যেনো এরকম আজকে আপনার খবর আছে। আমি কিছু না বলে উনার কাছে গেলাম। - আসুন আপনার জন্যই তো বসে আছি।(ম্যাম) - বুঝলাম না ম্যাম?(আমি) - তা বুঝবেন কেনো আপনি তো ছোট্ট বাবু।বুঝবেন কি করে।(ম্যাম) - কি বলছেন এসব।(আমি) <<<>>> - আসুন আপনার জন্যই তো বসে আছি।(ম্যাম) - বুঝলাম না ম্যাম?(আমি) - তা বুঝবেন কেনো আপনি তো ছোট্ট বাবু।বুঝবেন কি করে।(ম্যাম) - কি বলছেন এসব।(আমি) - যা বলছি ঠিকই বলতাছি।দুদিন অফিস আসেন নাই কেনো? (ম্যাম) - ম্যাম একটু অসুস্থ ছিলাম।(আমি) - ওহ তাই নাকি তো কি অসুখ হইছিলো আপনার যার জন্য দুদিন অফিস আসেন নাই।আর শুনেন এখন আর বাবা নেই যে যা খুশি তাই করবেন এরপর বিনা অনুমতিতে অফিস না আসলে আপনার চাকরি আমি খেয়ে নিবো।(ম্যাম) - ঠিক আছে ম্যাম আর হবে না।(আমি) উনাকে আর বললাম না কি অসুখ হইছিলো আমার।আর বললেও উনি বিশ্বাস করবে না শুধু শুধু কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। তারপর আরো কিছু ঝাড়ি দিয়ে ছেড়ে দিলো। যাইহোক চাকরিটা তো তাও বেচে গেছে। আসলেই চাকরিটা খুব বেশি দরকার নয়তো কবেই ছেড়ে দিতাম। এই প্যারায় আর থাকতে ইচ্ছা করেনা। এরপর থেকে আর কোনো ভুল করিনি। তবু্ও ঝাড়ি খেতে হইছে জানিনা উনি কি জন্য আমার সাথে এমন করেন। ৬ মাস হয়ে গেছে আর আমার মনে হয়না উনি একদিনও আমার সাথে ভালো ব্যাবহার করছেন। যাই হোক দরকার নেই ভালো ব্যাবহার এর আমার চাকরিটা থাকলেই হলো। , কিছুদিন চললো এভাবে হঠাৎ একদিন ম্যাম আমাকে ডেকে বললো, - আমাদের কোম্পানির কিছু কাজের জন্য আপনাকে সহ তিনজন কর্মকর্তাকে সিঙ্গাপুর যেতে হবে। তিনদিন সেখানে থাকার পর ডিল ফাইনাল করে চলে আসতে হবে।(ম্যাম) - কিন্তু ম্যাম আমাকে কেনো যেতে হবে ?(আমি) - কি আজব আপনি অফিসের সিনিওর কর্মকর্তা আপনি যাবেন নাতো কে যাবে।(ম্যাম) - জ্বি ম্যাম। (আমি) - আগামি তিন তারিখে যাচ্ছি আমরা আপনি গোছগাছ করে অফিস টাইমে বাসায় চলে আসবেন?(ম্যাম) - ওকে ম্যাম।(আমি) , তারপর কাজের চাপে আর মুরশিদা ম্যাম এর প্যারায় দেখতে দেখতে তিন তারিখ চলে আসলো। কিন্তু আমার মনে ভয় কাজ করতাছে কি যানি সেখানে গিয়ে আবার কি করে। সকাল সকাল মুরশিদা ম্যাম এর বাসায় গিয়ে পৌছালাম। আমার আগেই বাকিরা এসে গেছে। কিন্তু মুরশিদা ম্যাম কে দেখতাছি না। একটু পর উপরের দিকে তাকাতেই দেখলাম একটা পড়ি যেনো মাটিতে নেমে এসেছে। মুরশিদা ম্যাম শাড়ি পড়েছে। কি রকম যেনো লাগতাছে আমার মনে হচ্ছে উনার এলোমেলো চুল গুলা ঠিক করে দেই। আর কালো শাড়িতে যা লাগছে না আমিতো দেখেই ক্রাস খেয়ে গেলাম। একটু পর কারো কথায় ঘোর কাটলো, - এইযে মিস্টার মুখটা বন্ধ করে চলুন এখন।(ম্যাম) - জ্বি ম্যাম চলুন?(আমি)লজ্জিত কন্ঠে। , পরক্ষনেই মনে হলো আমি কি ভাবতাছি উনাকে নিয়ে উনি আমার মালিক আর আমি কিনা ধুররর। মন থেকে ভাবনাটা সরানোর চেষ্টা করলাম কিন্ত পারলাম না। আসলে মনের বিরুদ্ধে যাওয়া সহজ কথা না। তাই আর যেতেও চাইলাম না ভালো লাগাটাকে নিজের কাছেই বন্দি করে রাখলাম। এয়ারপোর্ট এ গিয়ে পৌছালাম। আমাদের দুজনের সিটটা পাশাপাশি মানে একসাথে আর বাকি দুজনের টা আলাদা। যাই হোক আমি ভাবতে লাগলাম । আজকে হঠাৎ শাড়ি পড়ার কারনটা কি যেখানে উনি অফিসেই মর্ডান ড্রেস পড়ে যান আর এখন সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন শাড়ি পড়ে আমার বিশ্বাস হচ্ছে না তবুও চোখের সামনে ঘটতাছে তাই বিশ্বাস করতে হলো। অন্যকেউ যদি বলতো এই কথা আমি কখনোই বিশ্বাস করতাম না। আকাশ পথে যাত্রা শুরু করলাম। যানিনা কতক্ষণ লাগবে এর আগে যাই নাই।তবে মনে হয় তারাতারিই পৌছে যাবো। আমি ম্যাম এর কথা ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি যানিনা। কিন্তু যখন ঘুম ভাংলো তখন যা দেখলাম তাতে হাসবো নাকি কাদবো নাকি অবাক হবো বুঝতাছি না। ম্যাম আমার কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে। এটাও কি আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। যে কিনা সবসময় আমাকে ঝাড়ির ওপর রাখে সেই কিনা কাধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে। আজকে সকাল থেকে শুধু অবাকই হয়ে যাচ্ছি। আজকের দিনটাই মনে হয় এরকম শুধু অবাক হবার জন্য। , অবশেষে পৌছালাম সিঙ্গাপুর। প্লেন থেকে নামলাম। চারপাশের মানুষগুলা অপরিচিত মনে হলো।মনে তো হবেই অন্য দেশে চলে এসেছি। একটু এগিয়ে গিয়ে দেখলাম আমাদের জন্য গাড়ি এসে গেছে। সবাই গিয়ে বসলাম গাড়ি ছেড়ে দিলো। আমরাও পৌছে গেলাম। গিয়ে একটা হোটেল এ উঠলাম। রাতে প্রচুর ঘুমালাম যার্নি করে এসেছি তো। পরেরদিন সবাইকে একটা ভিন্ন যায়গায় নিয়ে আসা হলো আজকে সারাদিন সবকিছু দেখবো তারপর কালকে মিটিং। সারাদিন সবাই মিলে সবকিছু ঘুরে দেখলাম। এখানে এসে মুরশিদা ম্যাম কোনো খারাপ আচরন করতাছে না হয়তো দুরে এসেছি তাই দেশে ফিরলে হয়তো আবার ঝাড়ি শুরু করবে। , পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বাসায় কল দিলাম মানে গ্রামের বাড়ি বাবা মার কাছে। - হ্যালো আব্বু কেমন আছো?(আমি) - ভালো আছি বাবা তুই কেমন আছোস?(আব্বু) - ভালো।বাবা মা কেমন আছে?(আমি) - তোর মা ও ভালোই আছে।(আব্বু) তারপর কিছুক্ষন কথা বলে ফোন কেটে দিয়ে নাস্তা করে নিলাম। তারপর কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে রেডি হলাম মিটিং এ যাওয়ার জন্য। যথা সময়ে মিটিং শুরু হলো, আমাকে দেওয়া হয়েছে সবকিছু তাদের বুঝিয়ে বলার জন্য। যদিও আমি ইংরেজিতে খুব ভালো তবুও মাঝখানে একটা ভুল করে ফেললাম। যার কারনে অনেক কিছুই ঘটতে পারতো তবে ঠিক সামলে নিলাম ব্যাপারটা।মুরশিদা ম্যাম এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মিটিং শেষ হলে জানতে পারলাম ডিল ফাইনাল। খুশি মনে হোটেলে ফিরলাম তবে ফিরেই বুঝতে পারলাম খুশির কিছু নাই আমার আজকে বারোটা বাজাবে মুরশিদা ম্যাম। উনি ডেকেছেন আমাকে আমি দড়জায় নক করে ডুকলাম। উনি আমাকে দেখে আরো রেগে গেলেন কেনো যানিনা। হঠাৎ করে এসে ঠাসস করে একটা থাপ্পর মারলো। আমি গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছি। - তোকে বেতন দিয়ে কি জন্য রাখা হইছে। আব্বু তো বলতো তুই এতো ভালো ওতো ভালো এইটা পারিস ওইটা পারিস কই একটা কাজ ও তো ঠিকমত করতে পারিস না। তোর জন্য আমাদের ডিলটা হাতছাড়া হতে যাচ্ছিলো।(আমি) , আমার চোখ দিয়ে শুধু পানি পড়তাছে এটা হবে ভাবিনাই। ভাবছিলাম হয়তো বকা দিতে পারে তাই বলে চড় মারলো। আমিতো ফ্রিতে বেতন নেই না কাজ করি তার বিনিময়ে নেই। আমি উনার ওখান থেকে চলে আসলাম। রাতে শুয়ে ভাবলাম রিজাইন লেটার দিয়ে দিবো দেশে ফিরে এই অপমান নিয়ে চাকরি করবো না ইতিমধ্যে দুইটা কোম্পানি থেকে চাপ দিচ্ছে জয়েন করার জন্য ভাবতাছি একটাতে জয়েন করবো। , পরের দিন সবাই ঘুরতে যাবে আমাকে ডাকতে এলো বাকি দুজন। - চলুন আজকে ঘুরবো সারাদিন। - আমার শরিরটা ভালো লাগতেছে না আপনারা যান আমি যাবোনা। (আমি) - আরে চলুনতো কিছু হবেনা। - আপনারা যান আমার সত্তি খারাপ লাগতাছে।(আমি) অনেক চেষ্টার পরও আমাকে নিতে না পেরে তারা তিনজন চলে গেলো। সারাদিন ঘুরাঘুরি করে রাতে তারা ক্লান্ত হয়ে ফিরলো। দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক ড্রিংক করে এসেছে। যাই হোক আমি যেহেতু তাদের কর্মসঙ্গি তাই তাদের সবাইকে যার যার রুমে দিয়ে আসলাম। পরের দিন প্লেন এ করে চলে আসলাম। আর কোনো কথা হয়নাই আমাদের মাঝে। আসার সময় আমার সিটটা আমি অন্যজনকে দিয়ে পিছনে গিয়ে বসলাম। , দেশে ফিরে সারাদিন ঘুমালাম। কালকেই রিজাইন দিয়ে দিবো আর কোনো প্যারা থাকবে না। পরের দিন অফিসে এসে ম্যাম এর কাছে গেলাম। - আপনাকে তো আমি ডাকি নাই তো এখানে কেনো? (ম্যাম) - আমি এতোদিন আপনার হয়তো অনেক ক্ষতি করছি এর জন্য দুঃখিত। আর এই নিন আমার রিজাইন লেটার আমি আর কাজ করবো না।(আমি) বলেই চলে আসলাম আর পিছন ফিরে তাকালাম না। চলবে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এই পর্বেও শেষ করতে পারলাম না তবে পরের পর্বে শেষ করে দিবো। পরের পর্ব পেতে অামাদের কমেন্ট করে জানান