মেয়েটার বিয়ের ৫ বছর পর হঠাৎ ছেলেটার সাথে দেখা হয়ে গেলো।
- এই জানো আমার নতুন আরেকটা জব হইছে আর ওখানে আমার বেতন ১ লক্ষ টাকা।(জিসান)
- ওহ গ্রেট।সত্তি তাই?(মুরশিদা)
- হুমম সত্তি তাই।আজকে আমি অনেক খুশি?(জিসান)
বলেই মুরশিদাকে জড়িয়ে ধরলো।
,
কে মুরশিদা আর কে জিসান জানতে ইচ্ছে হচ্ছে তো তাহলে চলুন জেনে নেই।
মুরশিদা ি জিসানের বউ। জিসান আগে একটা কোম্পানিতে চাকরি করতো সেখানে তার বেতনটা মোটামুটি ভালোই ছিলো ৪০ হাজারের মতো।
পারিবারিক ভাবেই তাদের বিয়েটা হয়।
দুজনে বেশ সুখে আছে।
আজকে জিসানের আরেকটা চাকরি হয়েছে।
বেতন ১ লক্ষ টাকা।
অনেক টাকা। আর এই টাকাই তো চেয়েছিলো মুরশিদা ি।
আর তাইতো সে অনেক সুখে অাছে।নইলে কাওকে কষ্ট দিয়ে কেও কোনোদিন ভালো থাকতে পারেনা।
,
চলুন জেনে নেওয়া যাক কি হয়েছিলো।
৫ বছর আগে হঠাৎ মেয়েটা প্রত্তয়কে বললো,
- প্রত্তয় ি আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে আমি আর তোমার সাথে রিলেশন রাখতে পারবো না।(মুরশিদা)
- কিন্তু কেনো কি দোষ আমার চলো পালিয়ে যাই। আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না।(সেদিন কাদতে কাদতে কথাগুলো বলেছিলো প্রত্তয়)
- তোর দোষ তোর টাকা নাই এইটা কি খাওয়াবি আমাকে বিয়ে করে। আর কোনোদিন আমার সাথে দেখা করার বা কথা বলার চেষ্টা করবিনা।(মুরশিদা)
।
সেদিন অনেক চেষ্টা করেছিলো মুরশিদাকে আটকানোর
কিন্তু সে ফিরে নাই।
সে দেখেছিলো ছেলেটার অনেক টাকা আর ভালো বেতনের চাকরি করে।
এজন্যই ছেড়ে দিলো প্রত্তয়কে
,
কিছুদিন প্রত্তয় নেশা নিয়ে পড়ে থাকতো কিন্তু তারপর ভাবলো।
নাহ এসব করে কি হবে সে তো অনেক ভালো আছে আমাকে ছাড়া তাহলে আমি কেনো পারবো না।
আর ও টাকার কথা বলছিলো না।
ওকে আমি দেখিয়ে দিবো আমি কে।
তখন ও নিজেই আফসোস করবে।
,
তারপর থেকেই শুরু। বাবার ব্যাবস্যা দেখাশোনা শুরু করলো সে।
আস্তে আস্তে কঠোর পরিশ্রম আর মনের সেই জেদটা দিয়ে আজ কে সে জানেন??
জিসানের বস।জিসানের মতো আরো প্রায় দশটা জিসানকে বেতন দেয় সে।
,
চলুন মুল গল্পে ফিরি।
,
মুরশিদা বসে বসে ভাবছিলো কত সুখে আছে সে।
আজ হঠাৎ প্রত্তয়ের কথা মনে হলো তার।
মনে মনে বললো তাকে ছেড়ে দিয়ে ভালোই হইছে।
হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো।
জিসানের ফোন।
জিসান তো বাথরুমে কি করবে সে।
ভাবতে ভাবতে ফোনটা ধরলো সে।
- হ্যালো জিসান সাহেব আপনি কি কালকে একটু অফিসে আসতে পারবেন??(ওপাশ থেকে প্রত্তয় বললো)
মুরশিদা যা শুনলো তা কি সত্য?
এটা তো প্রত্তয়ের নাম্বার আর কন্ঠটাও প্রত্তয়ের।
তার গলা কাপতাছে।
কাপা কাপা কন্ঠে সে বললো,
- আপনি কে বলছেন?(মুরশিদা)
- আমি প্রত্তয় জিসানের বস.(প্রত্তয়)
কথাটা বলার পর প্রত্তয় বুঝতে পারলো এটা কে।
এমন আচমকা কথা হবে সে ভাবতেই পারেনি।
,
মুরশিদা ভাবতাছে এটা কিভাবে সম্ভব।
প্রত্তয় তার স্বামির বস। ভাবতেই তার মনে অবিশ্বাস এর সৃষ্টি হলো।
যে প্রত্তয় একবেলা না খেয়ে থাকতো পকেটে টাকা থাকতো না তাই।
সেই প্রত্তয় ১ লক্ষ টাকা বেতন দেয় তার স্বামিকে।
- কেমন আছো?(প্রত্তয়)
- হুম ভালো তুমি?(মুরশিদা)
- হুম ভালোই।(প্রত্তয়)
- এসব কিভাবে?(মুরশিদা(
- যেভাবেই হোক অসৎ পথে কিছু হয়নাই।যা হইছে সব হালাল পথেই হইছে।(প্রত্তয়)
- ওহ আমাকে কি মাফ করছো?(মুরশিদা)
- আমি মাফ করার কে আল্লাহ মাফ করলে আমি কে?(প্রত্তয়)
- বিয়ে করো নাই?(মুরশিদা)
- হুমম করছি মেয়েটা অনেক কিউট দেখতে।(প্রত্তয় ি)
- ওহ ভালো।(মুরশিদা)
- ভালো থেকো আর তোমার স্বামিকে বইলো আমি ফোন দিছিলাম।(প্রত্তয়)
হঠাৎ জিসান বেড়িয়ে এলো।
- কে ফোন দিছে?(জিসান)
- তোমার বস?(মুরশিদা)
- কে প্রত্তয়?(জিসান)
- হুমমম।তাইতো বললো,(মুরশিদা)
জিসান ফোনটা নিয়ে বললো,
- হ্যা বস বলুন।
এদিকে মুরশিদা কাদতাছে।
হয়তো খুব মিস করতাছে প্রত্তয়কে না তার টাকাগুলাকে।
হয়তো এটা ভেবে যে কি মিসটাই করলাম।
।
আর ওদিকে প্রত্তয় তার বউয়ের ছবিটা আবারো দেখলো।
ছবিটা কার জানেন??
মুরশিদার।
সমাপ্ত।
...
।।
কেও বাশ দিলে সেটাকে মই বানিয়ে উপরে উঠুন।
কথাটা শুনতে একটু খারাপ হলেও অনেক অর্থ বহন করে।
কেও আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে??
নেশা নয় তার কথাগুলোকে জেদ বানান।
নিজেকে প্রমান করেন।
আর কিছু বলবো না।
ভালো থাকবেন সবাই।
আর গল্পটা ভালো লাগলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
<<<<<<অামরা নতুন কোনো গল্প পেলেই ওযেব সাইটে এ এ্যাড করবো।অাপনাদের কোনো গল্প শেয়ার করতে অামাদের ইমেইল করুন।
ইমেইলঃ asad.rahman661@gmail.com