বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৯

অবহেলা

বাবাঃ এটা আপনি কি বলছেন?? এটা কিভাবে সম্ভব। স্যারঃ কেন এতে আবার অবাক হওয়ার কি আছে?? বাবাঃ আপনারা কোথায় আর আমরা কোথায়। আমাদের সাথে আপনাদের জায় না?? স্যারঃ কেন জায় না যেখানে আমি রাজি সেখানে আপনারা অমত করছেন কেন??? বাবাঃ আসলে আপনার মেয়ে কি রাজি হবে?? স্যারঃ আমার মেয়ে সবকিছু জানে।৷ আরও এই বিয়েতে রাজি। মাঃ তাহলে আপনার মেয়ে কে কি একটু দেখতে পারি??? স্যারঃ কেন পারবেনা এই নিন আমার মেয়ের ছবি। ছবিটি মায়ের হাতে দিয়ে। আমার মাতো ছবি দেখে crush খেয়ে ফেলেছে। মাঃআপনার মেয়েতো অনেক মিষ্টি দেখতে আমরা রাজি। স্যারঃ আলহামদুলিল্লাহ তাহলেতো সব সমাধান হয়েই গেল কি বেয়াই সাহেব কি বলেন? বাবাঃ জি যেহেতু৷ আপনার মেয়ে রাজি তাই আমার কোন আপওি নেই। স্যারঃ তাহলে বিয়ের দিনকাল ঠিক করা যাক কি বলেন বেয়াই?? বাবাঃ না মানে এখনই? স্যারঃ আসলে আমি চাই আমার যা কিছু আছে তার অর্ধেক আমার মেয়ের নামে আ বাকি অর্ধেক আমার মেয়ের যে জামাই হবে তার নামে লিখে দিয়ে আমি একটু বিশ্রাম নিব। আমি চায় ওরা দুজন আমার সমস্ত কিছুর দেখাশোনা করুন। তাই একটু তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে চায়। বাবঃ আপনি যা ভালো মনে করেন তাই হবে। স্যারঃতাহলে সামনের শুক্রবার বিয়ে আপনারা কি বলেন??? বাবাঃ ঠিক আছে তাই হবে। বাবাঃ আর হ্যা একটা কথা আমার মেয়ে চাইনা অনেক ধুমধাম করে তার বিয়ে হোক। আমি চাইলেই অনেক ধুমধামের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিতে পারতাম কিন্তুু আমার মেয়ে তা চাইনা তাই সামান্ন আয়োজন করে তাদের বিয়ে দিতে চাই। মাঃ ঠিক আপনারা যা চান তাই হবে। তারপর আমি তাদের কাছে গেলাম সবাই একসঙ্গে খাবার খাওয়ার পর। স্যারঃ অনিক তাহলে আজকে আসি কেমন। অনিকঃ জি স্যার। স্যারঃ আবার স্যার এখন থেকে বাবা বলবা কেমন। আমি একটু লজ্জা পেয়ে জি। তাহলে আজকে আসি। তারপর তিনি বাবা- মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ওনি চলে গেলেন।।।।।। মাঃ কিরে তলে তলে এতকিছু তা আমাদেরতো বললি না। আমি আবার লজ্জা পেলাম না মানে কাল..... আর বলতে দিল না।। মাঃ মেয়েটা অনেক মিষ্টি দেখতে তোর সাথে খুব মানাবে বাবা। এই দেখ মেয়ের ছবি। অনিকঃ না মা ছবি দেখা লাগবেনা৷ তোমাদের পছন্দ মানে আমার পছন্দ তাই দেখার দরকার নেই। বাবাঃ আগামী৷ শুক্রবার তোর বিয়ে। অনিকঃ কি এত তাড়াতাড়ি?? হুম রেডি থাকিস কেমন। তারপর বাবা- মা হাসতে লাগল আমি আমার নিজের রুমে চলে আসলাম। সকালে ঘুম থেকে ওঠে অফিসের চলে গেলাম। অফিসে যাবার পর। মুন্নাঃ কিরে কাল আসলি না কেন??? অনিকঃ আমার কালকে ছুটি ছিল তাই আসিনি। মুন্নাঃ কেন? অনিকঃ আমাকে দেখতে এসেছিল তাই। মুন্নাঃ অবাক হয়ে কি বলিস?? অনিকঃ হুম আর আগামী শুক্রবার আমার বিয়ে চলে আসবি। কিন্তুু কার সাথে? অনিকঃ স্যারের মেয়ের সাথে। মুন্নাঃ ওরে কি কস অনিকঃ তুম ঠিকই বলছি। তারপর অনেকেরই দাওয়াত দিলাম। মৌঃ ভাইয়া আমি শুনেছি স্যারের মেয়ে নাকি অনেক রাগি। অনিকঃ কি আর করবো বাবক- মার মেয়েকে অনেক পছন্দ হয়েছে৷ তাই বিয়ে করতেই হবে। তারপর অফিস করে বাসায় চলে আসলাম। আর আসার সময় অফিস থেকে স্যার ১৫ দিনের ছুটি দিলেন। বাসাই এসে মা বললো। মাঃ সবাইকে বলেছিস তো? অনিকঃ হুম বলেছি। রাইসাঃ কি মজা ভাইয়ার বিয়ে হবে আমি ভাবিকে সবসময় জালাবো। অনিকঃ হুম তুমি জালাবে নাতো কে জ্বালাবে বলো? রাইসাঃ হুম। তারপর রুমে এসে ফ্রেস হয়ে খাবার খেতে গেলাম। খাবার খেয়ে রুমে গিয়ে একটু ফেসবুক চালিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম। পরের দিন সকাল বেলা। ঘুম থেকে ওঠে হালকা খবার খেয়ে বন্ধুদের ফোন দিয়ে বললাম অমুক জায়গায় আসতে...... তারপর ওরা আসলে। রাশেদঃ কিরে হঠাৎ এমন ডাক দিলি কেন? অনিকঃ আসলে বাসা থেকে আমার বিয়ে ঠিক করেছে। আগামী শুক্রবার আমার বিয়ে। তোরা কিন্তুু চলে আসবি। রাশেদঃ তোর বিয়ে আর আমাদের জানালি না। অনিকঃ আরে সেই জন্যই তো তোদের ডেকেছি। ফয়সালঃ তো কিছু জানিনা মারা ট্রিট দিবি তাই জানি? অনিকঃ ঠিক আছে চল। তারপর ওদের নিয়ে একটা রেস্টুরেন্ট এ গেলাম তারপর খাওয়া দাওয়া করে ওদের বিদায় দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। যেহেতু বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি তাই গোসল করে ঘুমিয়ে পড়লাম। এভাবেই একটা দিন চলে গেল। পরেরদিন বন্ধুদের নিয়ে মার্কেট করতে গেলাম। আর বাবা- মা আর রাইসার জন্যও কিনলাম। তারপর ওরা বাসায় চলে গেল । আমিও বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে মার হাতে মার্কেটের জিনিসপত্র দিয়ে রুমে চলে আসলাম। দেখেতে দেখতে দুএকদিন কেটে গেল কালকে আমার বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই চলে আসলো হ্যা আজকেই আমার বিয়ে। সবাই চলে এসেছে তারপর রেডি হয়ে বাবা - মাকে সালাম করে বিয়ে করতে রওনা দিলাম। বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখলাম ভালোই আয়োজন করেছে। রাশেদঃ মামা ভাবিটা কিন্তুু সেই তোর সাথে বেশ মানাবে। তারপর বিয়েটা হয়ে গেল। কিন্তুু এখনো আমি মেয়ের মুখটা এখনো দেখিনি। বাসায় আসার পর সবাই বউ নিয়ে ব্যস্ত আমি মনে হচ্ছে এই বাড়ির কেউ নয়। তাই আমি একটা জায়গায় চুপ মেরে বসে আছি। অনেকক্ষণ পর বন্ধুরা আসলো। সুমনঃ কিরে এখানে বসে আছিস কেন ভাবি তোর জন্য অপেক্ষা করছে। অনিকঃ আমার না ভয় করছে?? ফয়সালঃকিসের ভয় আর হ্যা বিড়াল মারতে যেন ভুলিস না। তারপর তাঁরা জোর করে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিলা। যেয়ে দেখি বউ ঘুমটা দিয়ে বসে আছে। আমি বুকে সাহস নিয়ে খাটে গিয়ে বসলাম। আস্তে আস্তে ঘুমটা সরিয়ে জা দেখলাম তাতে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। তু তুুমি..............?? বিদ্রঃভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।