রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৯

রাগী ম্যাইয়া

ইমন ক্লাসরুম থেকে বেড় হয়ে রিতুকে সামনে দেখতে পেয়ে রিতুর দিকে চেয়ে একটা মুচকি হেসে সামনের দিকে চলে যায়। পরেরদিন ভার্সিটিতে এসে রিতু ইমন কে দেখতে পেয়ে -ঐ এদিকে আয়?(রিতু) -হ্যা বল -হোয়াট? -কি বলবি বল -আমাকে তুই করে বললি কেনো? -তো কি আপনি করে বলবো? -আপনি করে বলবি -ওমাহ রে মাহ সেতি কয় কি? বলে নিজে নিজে হাসি দেয় -ঐ চুপ কর -শোণ তোরে আমি এটা উদাহরন দেয় যেটাতে তুই অল্পতে বুঝে যাবি,মনে কর আমি একটা সিগারেট খাচ্ছি এমন সময় কোনো একটা সম্মানিত ব্যাক্তি দেখে সিগারেট টা হাতে লুকিয়ে রাখলাম,ঐ ব্যাক্তিটা সেটা দেখার পর ও যদি আমার সামনে দাড়িয়ে থাকে তাহলে কি আমার হাত টা পুড়ে যাবে না? -কি বুঝাতে চাইছিস -যা বলছি তার উত্তর দে -হ্যা পুড়বে -তার পরেরদিন ও যদি আমি সেইম প্রবলেম ফেইস করি তাহলে কি আমি উনাকে দেখে সিগারেট হাতে লুকিয়ে রাখবো নাকি উনার সামনেই টানবো? -রিতু চুপ হয়ে আছে -ঠিক তেমনি তোকে আমি সম্মান করতাম কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারিস নাই, বলে ইমন ক্লাসরুমের দিকে চলে যায়। রিতু এসব শুনে রাগে নাক মুখ লাল হয়ে যায়। একদিন রিতু আর তার কয়েকটা বান্ধবী বসে আছে। -দোস্ত দেখ ভার্সিটির প্রেট্টি বয় আসছে(সালমা) -কোথায়?(রিতু) -ঐদিকে দেখ কে আসছে -ঐদিকে তো ইমনইন্না ছাড়া আর কেউ নাই -ওরে কি তোর কাছে কিউট মনে হয় না? -ইয়াকককক -ইসশশ দোস্ত দেখ কতো সুন্দর লাগতেছে, ব্লেজার টা অনেক মানাইছে -তোর কথা শুনে মনে হচ্ছে এটা সালমান খান -ও আমাদের বাংলাদেশের সালমান খান -নাঈম্মা তাইরে পাবনার পাগলীখানা নিয়া ভর্তি করিয়ে দিয়ে আয় রে ভাই -ঐ তোরা চুপ কর, চল ক্লাসে যাই(নাঈম) সবাই ক্লাস যাওয়ার পরে স্যার ক্লাস রুমে আসে। -এই সবাই শুনো(স্যার) ক্লাসের সবাই তখন স্যারের কথায় মনযোগ দেয়। -সামনের সপ্তাহে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আছে, সেখানে দুজন যেতে হবে। একজন ছেলে আরেকজন মেয়ে। আমরা সবাই মিলে ঠিক করছি আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে #ইমন আর রিতু সেই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করবে। তোমরা কি বলো? #রিতু তখন দাড়ায় -স্যার ছেলেদের মধ্যে অন্য কাউকে নেওয়া যায় না?u -কেনো? -স্যার অন্য কোনো ছেলেকে নিলে ভালো হতো -গত পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট কে করছে? -#ইমন -ক্লাসে সবসময় এক্টিভ থাকে কে? -জি স্যার জানিনা -সবার মধ্যে ইমনের প্রেজেন্টেশন বেশি -#রিতু তখন চুপ হয়ে থাকে -আগামী সপ্তাহে তোমরা দুজন প্রস্তুত থেকো -ওকে স্যার। ইমন তখন দাড়ায় -স্যার কোন বিষয়ের উপর প্রতিযোগীতা হবে? -দুজন অফিসে এসে জেনে নিবা -ওকে স্যার আরো কতক্ষণ কথা বলে ক্লাস শেষ করার পরে ইমন অফিসের দিকে যাইতে থাকে, ইমনের পিছনে পিছনে রিতু জান্নাতকে সাথে করে নিয়ে অফিস থেকে সবকিছু জেনে নেয়। । ইমন ক্যাম্পাসের দিকে হাটছে এমন সময় নিশি নাঈমকে দিয়ে ডাক দেওয়ায়। ইমন আসার পরে -কি রে মফিজ কি অবস্থা?( নাঈম ইমনের কাধে হাত রেখে) -মফিজ কে? -তুই যে মফিজ না সেটা তে তোর সন্দেহ আছে নাকি? -ওহহহ -হ্যা -হুমম আপু ভালো, তুমি কেমন আছো? -ঐ তোরে ওরা বলে নাই, আমি বলছি সো উত্তরটা আমারে দে -উত্তর তো তোকেই দিলাম -তাহলে আপু বললি কারে? -তোরে -কিহহহ -হ্যা, তুই তো শালা লেডিস,সারাদিন এই দেমাগির সাথে থাকিস -এই এই কি বলছিস?(রিতু) -যা বলছি তা শুনতেই পাচ্ছিস -এসব বলবি কেনো? -তো কি বলবো? আমার তো ইচ্চা হয় তোকে থাপ্পড় দিতে।শুধু মেয়ে বলে থাপ্পড় খাওয়া থেকে বেচে যাচ্ছিস বলে ইমনের সামনের দিকে হাটতে থাকে এমন সময়ে নিশি ইমনেরর কলার টেনে ধরে ইমন তখন হাটা থামিয়ে পিছনের দিকে চেয়ে -শার্টের কলারে ধরছিস কেনো? -আমি দেমাগি? -তা নয়তো কি? -কি দেখে আমাকে তোর দেমাগি মনে হলো? -তোর মতো ক্যাম্পাসে অন্য কোনো মেয়ে আছে কি না? -আছে -তারা তোর মতো এসব করে? -আমি কি করছি? -কি না করছিস? একমাত্র তুই আর এই ছ্যাচরা ই মফিজ বলিস -হা হা হা, মফিজকে মফিজ বলবে না তো কি করবে? -আরেকবার বলিস, বললে কান সহ গড়ম করে দিবো -ওমাহ মফিজে কয় কি রে?(নাঈম) ইমন তখন নাঈমের গালে ঠাস ঠাস করে কয়েকটা............. চলবে