মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২০

খুব বেশি মনে পড়ে তোমাকে ২০২০

S...খুব বেশি মনে পড়ে তোমাকে আমাকে কী তোমার মনে পড়ে? না না, আমাকে তো তোমার মনে পড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না, তুমি তো আর এখন এই পৃথিবীর বুকে নেই। আমি পাগল না হলে কী আর তোমাকে এমন কথা বলতে পারি? কিন্তু তোমাকে আমার ঠিকই মনে পড়ে। প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে তোমাকে আমার মনে পড়ে। মনে পড়বেই না কেন? তোমার-আমার সেই দিনের পুরনো কথাগুলো যে আমাকে বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকে। প্রথম যেদিন তুমি আমাকে বন্ধুত্বের আহ্বান করলে সেদিন আমি কিন্তু তোমাকে পাত্তাই দেইনি। আমি একজন ছেলে হয়ে তোমার প্রথম বন্ধুত্বের আহ্বান ফিরিয়ে দিয়েছি, তবুও তুমি পর পর কয়েক দিন চেষ্টা করার পর আমি তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছি। আমি কী কোনো মহানায়ক ছিলাম যে, তোমার মতো এমন একজন সুন্দরী মেয়ে আমাকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে আহ্বান করার পরেও প্রথমে সাড়া দেয়নি। না, আমি মোটেও কোনো মহানায়ক বা সাধারণ, অসাধারণ কোনো নায়ক ছিলাম না। আমি ছিলাম সরল-সহজ একজন সাধারণ ছেলে, এখনো তাই আছি। তবে কেন তোমার মতো একটা মেয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব করতে আপত্তি ছিল? আসলে তোমার আগে আমার আরো কয়েকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল। তারা আমার সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্বের ভালো ব্যবহার দেখিয়ে সরল মনে দাগ দিয়েছে। আমি তাদের মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতাম। আমি জানতাম যে, জীবনে চলার জন্য মানুষের বন্ধুত্বের প্রয়োজন আছে, এও জানি যে বন্ধু ছাড়া মানুষ একা চলতে পারে না। তাই তো আমি তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলাম। কিন্তু তারা কি করল জানো? আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে প্রতারণা করলো, আস্তে আস্তে কুড়ে কুড়ে আমাকে যেন শেষ করে দিচ্ছিল। কিভাবে কি করল তারা আমার সঙ্গে সে বর্ণনা নাইবা দিলাম। সে কথাগুলো বলতে গেলে কষ্ট আমার বাড়তে থাকবে। তারা আমার সঙ্গে বন্ধুত্বের নামে প্রতারণা করে চলে যাওয়ার পর আমি সিদ্ধান্ত নেই যে, আর জীবনে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করব না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুমি এসে আমাকে যেন চুম্বকের মতো টেনে নিলে। প্রথমে তো পাত্তা দিইনি। কিন্তু একের পর এক যখন তুমি আমার পিছু লেগে থাকতে শুরু করলে তখন আমার মনটাকে একটু নরম করলাম। দেখে না শেষবারের মতো তোমার সঙ্গে বন্ধুত্বটা করে। তাই তো হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম বন্ধুত্বে। হ্যাঁ, তুমি আমার শেষ বন্ধু হলেও খুব ভালো একজন বন্ধু ছিলে। তোমার সব কথা আমার সঙ্গে শেয়ার করতে। আমি আস্তে আস্তে তোমার সঙ্গে আমার দুঃখ, কষ্ট, বেদনার কথাগুলো শেয়ার করতাম। তোমার সঙ্গে মিশে বুঝতে পারলাম যে, আমার চেয়ে তোমার মনে অনেক কষ্ট। তোমার মা নেই, তোমাকে আট বছর বয়সে রেখে তোমার মা মারা যায়। তোমার বাবা আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে। তোমার সৎ মা তোমাকে ভালোবাসতো না। অনেক কষ্ট দিত। তোমাকে দিয়ে কাজের বুয়ার চেয়েও বেশি কাজ করাত। এছাড়াও আরো নানানভাবে তোমাকে কষ্ট দিত। তাছাড়া তুমি একটা ছেলেকে ভালোবেসেছিলে তাও আমার সঙ্গে শেয়ার করেছো। ছেলেটি তোমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তোমাকে ঠকিয়েছে। ভালোবাসার অভিনয় করে তোমার দুচোখে শুধু স্বপ্ন এঁকে দিয়ে অন্যকে নিয়ে ঘর করছে। তোমার মতো আমার বেলাতেও হয়েছে। তোমার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগে আমাকেও দুয়েকজনে ভালোবাসি বলে স্বপ্ন দেখিয়ে চলে গেছে। তবে আমার চেয়ে তোমার কষ্টগুলো অনেক বড় মনে হয়। যখন তোমার কষ্টের কথাগুলো শুনতাম তখন আমি আস্তে আস্তে তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে যেতে থাকি। তোমার কষ্টে আমি কষ্ট পেতে থাকি। তোমার কষ্টের ভাগিদার হতে চাই। কিন্তু তা আর হতে পারলাম না। একদিন সকালে শুনতে পেলাম যে, তুমি নাকি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলাতে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছো। প্রথমে তো আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি যে, তুমি আত্মহত্যা করেছো। আমি দেখতে গিয়েছিলাম তোমার লাশ। তোমার মরা মুখ দেখে আমি বলেছিলাম যে, তুমি মরনি, ঘুমিয়ে আছ। আমার কথা শোনে অনেকে পাগল বলেছে আমাকে। আমার কাছে মনে হয়েছিল যে, তুমি সত্যি সত্যি ঘুমিয়েছিলে। তখন সবার সামনে একটুও কাঁদিনি। কিন্তু বাসায় আসার পর আমি গোপনে অনেক কেঁদেছি। এখনো তোমার জন্য আমার দুচোখে জল ঝরে। তোমার কবরে যখন আমি মাটি ছুঁই তখন আমার বুকের ভেতরটা যেন দাউ দাউ করে জ্বলে। এতটা কষ্ট এখনো আমি তোমার জন্য পাই। যদি বেঁচে থাকতে তাহলে তোমাকে ছাড়া আমার জীবন সাথী আর কাউকে করতাম না। আজো তোমাকে ভেবে দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। তোমাকে অনেক, অনেক মনে পড়ে। খুব মিস করি তোমায়। আমাকে কী তোমার মনে পড়ে? না না, আমাকে তো তোমার মনে পড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না, তুমি তো আর এখন এই পৃথিবীর বুকে নেই। আমি পাগল না হলে কী আর তোমাকে এমন কথা বলতে পারি? কিন্তু তোমাকে আমার ঠিকই মনে পড়ে। প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে তোমাকে আমার মনে পড়ে। মনে পড়বেই না কেন? তোমার-আমার সেই দিনের পুরনো কথাগুলো যে আমাকে বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকে। প্রথম যেদিন তুমি আমাকে বন্ধুত্বের আহ্বান করলে সেদিন আমি কিন্তু তোমাকে পাত্তাই দেইনি। আমি একজন ছেলে হয়ে তোমার প্রথম বন্ধুত্বের আহ্বান ফিরিয়ে দিয়েছি, তবুও তুমি পর পর কয়েক দিন চেষ্টা করার পর আমি তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছি। আমি কী কোনো মহানায়ক ছিলাম যে, তোমার মতো এমন একজন সুন্দরী মেয়ে আমাকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে আহ্বান করার পরেও প্রথমে সাড়া দেয়নি। না, আমি মোটেও কোনো মহানায়ক বা সাধারণ, অসাধারণ কোনো নায়ক ছিলাম না। আমি ছিলাম সরল-সহজ একজন সাধারণ ছেলে, এখনো তাই আছি। তবে কেন তোমার মতো একটা মেয়ের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব করতে আপত্তি ছিল? আসলে তোমার আগে আমার আরো কয়েকজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল। তারা আমার সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্বের ভালো ব্যবহার দেখিয়ে সরল মনে দাগ দিয়েছে। আমি তাদের মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতাম। আমি জানতাম যে, জীবনে চলার জন্য মানুষের বন্ধুত্বের প্রয়োজন আছে, এও জানি যে বন্ধু ছাড়া মানুষ একা চলতে পারে না। তাই তো আমি তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিলাম। কিন্তু তারা কি করল জানো? আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে প্রতারণা করলো, আস্তে আস্তে কুড়ে কুড়ে আমাকে যেন শেষ করে দিচ্ছিল। কিভাবে কি করল তারা আমার সঙ্গে সে বর্ণনা নাইবা দিলাম। সে কথাগুলো বলতে গেলে কষ্ট আমার বাড়তে থাকবে। তারা আমার সঙ্গে বন্ধুত্বের নামে প্রতারণা করে চলে যাওয়ার পর আমি সিদ্ধান্ত নেই যে, আর জীবনে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব করব না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুমি এসে আমাকে যেন চুম্বকের মতো টেনে নিলে। প্রথমে তো পাত্তা দিইনি। কিন্তু একের পর এক যখন তুমি আমার পিছু লেগে থাকতে শুরু করলে তখন আমার মনটাকে একটু নরম করলাম। দেখে না শেষবারের মতো তোমার সঙ্গে বন্ধুত্বটা করে। তাই তো হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম বন্ধুত্বে। হ্যাঁ, তুমি আমার শেষ বন্ধু হলেও খুব ভালো একজন বন্ধু ছিলে। তোমার সব কথা আমার সঙ্গে শেয়ার করতে। আমি আস্তে আস্তে তোমার সঙ্গে আমার দুঃখ, কষ্ট, বেদনার কথাগুলো শেয়ার করতাম। তোমার সঙ্গে মিশে বুঝতে পারলাম যে, আমার চেয়ে তোমার মনে অনেক কষ্ট। তোমার মা নেই, তোমাকে আট বছর বয়সে রেখে তোমার মা মারা যায়। তোমার বাবা আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে। তোমার সৎ মা তোমাকে ভালোবাসতো না। অনেক কষ্ট দিত। তোমাকে দিয়ে কাজের বুয়ার চেয়েও বেশি কাজ করাত। এছাড়াও আরো নানানভাবে তোমাকে কষ্ট দিত। তাছাড়া তুমি একটা ছেলেকে ভালোবেসেছিলে তাও আমার সঙ্গে শেয়ার করেছো। ছেলেটি তোমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তোমাকে ঠকিয়েছে। ভালোবাসার অভিনয় করে তোমার দুচোখে শুধু স্বপ্ন এঁকে দিয়ে অন্যকে নিয়ে ঘর করছে। তোমার মতো আমার বেলাতেও হয়েছে। তোমার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগে আমাকেও দুয়েকজনে ভালোবাসি বলে স্বপ্ন দেখিয়ে চলে গেছে। তবে আমার চেয়ে তোমার কষ্টগুলো অনেক বড় মনে হয়। যখন তোমার কষ্টের কথাগুলো শুনতাম তখন আমি আস্তে আস্তে তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে যেতে থাকি। তোমার কষ্টে আমি কষ্ট পেতে থাকি। তোমার কষ্টের ভাগিদার হতে চাই। কিন্তু তা আর হতে পারলাম না। একদিন সকালে শুনতে পেলাম যে, তুমি নাকি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলাতে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছো। প্রথমে তো আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি যে, তুমি আত্মহত্যা করেছো। আমি দেখতে গিয়েছিলাম তোমার লাশ। তোমার মরা মুখ দেখে আমি বলেছিলাম যে, তুমি মরনি, ঘুমিয়ে আছ। আমার কথা শোনে অনেকে পাগল বলেছে আমাকে। আমার কাছে মনে হয়েছিল যে, তুমি সত্যি সত্যি ঘুমিয়েছিলে। তখন সবার সামনে একটুও কাঁদিনি। কিন্তু বাসায় আসার পর আমি গোপনে অনেক কেঁদেছি। এখনো তোমার জন্য আমার দুচোখে জল ঝরে। তোমার কবরে যখন আমি মাটি ছুঁই তখন আমার বুকের ভেতরটা যেন দাউ দাউ করে জ্বলে। এতটা কষ্ট এখনো আমি তোমার জন্য পাই। যদি বেঁচে থাকতে তাহলে তোমাকে ছাড়া আমার জীবন সাথী আর কাউকে করতাম না। আজো তোমাকে ভেবে দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। তোমাকে অনেক, অনেক মনে পড়ে। খুব মিস করি তোমায়। মোঃআসাদ রহমান কোটচাঁদপু, ঝিনাইদহ

কোন মন্তব্য নেই: