সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২০

চাচাতো বোন যখন বউ/asadrahman

চাচাতো বোন যখন বউ" (part:2) কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে গিয়েছিলাম নুসরাতের রুমে, গিয়ে দেখি উনি Tik Tok ভিডিও বানাতে ব্যস্ত...।তাই দরজার সামনে গিয়ে শাহরুখ খানের মতো স্টাইল নিয়ে... এ এ এ "ছোঁওয়াগাত নেহি কারোগি হামারা...? নুসরাত আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে এক মিনিট দাড়া নড়বি না, ছোওয়াগাত করতেছি তকে। তারপর পাশে থেকে একটা জুতা নিয়ে ঠাস করে আমার দিকে ছুরে মারলো। এরপরের বার রুমের সামনে আসলে.. ঝাড়ুছে কারোংগি তেরি ছোওয়াগাত....।এর পর পরই মুখের উপর ধারাম করে দরজা টা বন্ধ করে দিলো ইজ্জত কি ফালুদা বানা দিয়া রে.. ।আশে পাশে ঘুরে দেখলাম কেও আবার দেখে ফেললো নাকি।বলা তো যায় না কে আবার ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে ছেরে দিবে।এ সমস্ত ভিডিও ভাইরাল করতে তো আপনাদের আবার সময় লাগে না.. ।না, আশে পাশে কেউ নেই ভেবে যেই একটা স্বস্তির দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়তে যাবো ঠিক তখনি তাকিয়ে দেখি কাজের মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে ফ্যালফ্যাল করে হাসতেছে।আমি সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলাম কি হয়েছে হাসতেছো কেন..? কাজের মেয়েঃআমি সব দেখে ফেলেছি দাদা ভাই.. আমিঃএই রে, এইবার ইজ্জত নিলামে উঠবে শিওর।আমাদের কাজের মেয়েটাকে সবাই বি বি এস খবরবার্তা বলে।কারন ও সব কিছু 5G স্পিডে ছড়িয়ে দিতে উস্তাদ। তখন মাথায় ঘুরে ফিরে একটা গানই বাজতেছিলো"লুট গায়া ম্যা লুট গায়া"।ইজ্জতের মায়া ছেরে রুমে গিয়ে ফেসবুক টা লগইন করলাম।আহা কতো সুন্দর সুন্দর মেয়ে আমার ফ্রেন্ডলিস্টে, বিয়ের পর আর এদের সাথে কথা বলতে পারবো না ভেবেই আবেগে বুক হালকা হয়ে গেলে থুক্কু ভারি হয়ে গেলো।এসব কথা চিন্তা করে করে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম বুঝতেই পারলাম না।ঘুম ভাঙতেও বেশী সময়ের প্রয়োজন হলো না,ধারাম করে এক গাদা পানি উড়ে এসে আমার উপরে পরলো। তাকিয়ে দেখি নুসরাত। আমিঃএগুলার মানে কি...? নুসরাতঃতর জন্য চা এনেছি... আমি:চা এনেছিস ভালো কথা তাই বলে এ ভাবে ঘুম ভাঙাবি..?দে.... নুসরাত: কি..? আমি: চা টা দে.. নুসরাতঃএই নে আমি একটু মুখে দিয়ে... আমি:বেআক্কেল মেয়ে ১৮ বছর হয়ে গেছে এখনো লবন আর চিনির পার্থক্য বুঝস না।চায়ে লবন না,চিনি দিতে হয় এ গুলা কেও তকে শিখায় নাই..? নুসরাত:চায়ে লবন ইচ্ছা করেই দিছি। এখন থেকে এগুলাই তর কপালে আছে।যতো তাড়াতাড়ি অভ্যাস করতে পারবি তর জন্য ততোই ভালো...বায় এখন ঘুমিয়ে থাক। আজব মাইয়া।পানি দিয়ে গোসল করিয়ে এখন বলে ঘুমিয়ে থাক।কি আর করার ভেজা শরিরে তো আর থাকা যাচ্ছে না তাই সকাল সকাল গোসল টা করেই ফেললাম। শীতের সকালে গোসল করার স্বাদ একমাত্র স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরাই বলতে পারবে।এমন ভাবে কাপতেছিলাম মনে হচ্ছিলো শরিরের প্রতিটা পেশিকোষে কেও ১১০০০ হাজার বোল্ডের বিদ্যুৎ এর শক দিতেছে। রেডি হয়ে নিচে চলে গেলাম নাস্তা করতে। হঠাৎ ফোন আসলো মেঝু চাচা,মেঝুচাচি দেশে আসতেছে।তাদের আনতে বিমানবন্দরে যেতে হবে। দুপুরের খাবার খেয়ে ছোট চাচাতো ভাই টাকে নিয়ে রওনা হয়ে গেলাম।কিছু সমস্যার জন্য চাচা-চাচির ফ্লাইট ৩ ঘন্টা পিছিয়ে গেছে।কি আর করার, গাড়িতে বসে টিভি দেখে সময় পার করে দিলাম।অত:পর ১০:৪০ এ চাচা চাচি কে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম এবং ১১:৫৫ তে বাসায় পৌছে গেলাম।বাসায় গিয়ে মোবাইল চার্জদিতে গিয়ে দেখি চার্জার গায়েব।কে গায়েব করেছে তা এখন ভাবার সময় নেই,বউয়ের অবস্থা খারাপ যে কোন সময় দম বের হয়ে যাবে মাত্র ৩% চার্জ আছে।হঠাৎ মাথায় আসলো নুসরাতের দুইটা চার্জার একটা সিস্টেম করতে পারলেই আমার কাজ চলে যাবে।চোরের মতো নুসরাতে ঘড়ে প্রবেশ করে যেই চার্জার আনতে গেছি আর তখনি নুসরাত চলে এসেছে..।জান বাচাতে দিলাম অলম্পিকে ৮০০ মিটারের দৌড়, পায়ে লেগে নুসরাতের রাঙামাটি থেকে আনানো শখের ফুলেরটব টা ভেঙে চৌচির হয়ে গেলো।ভয়ে আমার হার্ট টা যেন বের হয়ে আসতেছিলো।বুঝতে পারতেছেন ধরতে পারলে ও আমার কি হালটাই না করবে...জান বাচাতে ছাদে গিয়ে পালাইছিলাম কিন্তু নুসরাত তো নাছোড়বান্দা জানে আমি ভূত কে অনেক ভয় পাই তাই আমাকে কিছু না বলে, চিলেকোঠার দরজাটাই লক করে দিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় আবার বলে গেছে বেস্ট অব লাক।এখন আমি ছাদে বসে গল্প লেখতেছি।দোয়া করবেন বেচে থাকলে পরের পর্বদিবো। .

কোন মন্তব্য নেই: