রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস ২০১৯

তারপর ওর কেবিন থেকে বেড়িয়ে আসলাম। সত্যি বলতে সেই ভাবে হাসি পাচ্ছে। সঞ্জিতা কে আপা বলায় এত জ্বলা জ্বলতেছিল। ভেবেই খালি হাসি পাচ্ছে। একটা কথা মনে রাখবেন গালফ্রেন্ড যদি এক্স হয়ে যায়। তাকে জ্বালাইতে চান? তাহলে আমার মত আপামনি আপামনি বলে ডাকবেন। সে জ্বলবেই ১০০% গ্যারান্টি। যাহোক ছুটি যেহেতু পেয়েছি। বাসায় চলে গেলাম তারাতারি। বাসায় যেতেই,,, আম্মুঃ কিরে এত যলদি চলে আসলি যে? আমিঃ ছুটি নিয়া চলে আসলাম আম্মুঃ কেন তুর কি শরির খারাপ..? আমিঃ না। আমি ঠিক আছি। এমনি ছুটি নিয়া চলে এসেছি আম্মুঃ ফ্রেশ হয়ে খাইতে আয়। আমিঃ না খাব না। অফিসে খেয়েছি। তারপর নিজের রুমে চলে গেলাম। বিকালে বেড় হলাম আড্ডা দিতে। আমিঃ কি মামা বউ নিয়া কেমন কাটছে..? শাওনঃ আর বলিস না। প্যাড়া প্যাড়া। খালি এটা কিনে দাও ওটা কিনে দাও। আমিঃ আর করবি বিয়া শাওনঃ ভাই জীবনেও প্রেম করে বিয়া করিস না। জীবন নরক বানিয়ে ছেড়ে দিব। আমিঃ হাহাহা। তুষারঃ এতই যদি জানতি নরক হবে। তাইলে তুই করলি কেন শাওনঃ আগে যদি জানতাম তাহলে কি করতাম নাকি পার্থঃ কবি বলে গেছেন.... ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না। শাওনঃ শালা ডাইলগ মারা বন্ধ কর। ওদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরলাম রাতে। খেয়ে বিছানায় শুয়ে আছি। এমন সময় ফোন টা বেজে উঠল। অপরিচিত নাম্বার। ফোন রিসিভ করলাম। আমিঃ হেলো ওপাশ থেকেঃ হাই আওয়াজ টা শুনার সাথে সাথেই বুঝতে পেরেছি যে এ অন্য কেউ নয় স্বয়ং সঞ্জিতা। মজা করা যাক। আমিঃ কে বলছেন? সঞ্জিতাঃ তুমিই বলো কে বলছি আমিঃ কে খালামনি নাকি? সঞ্জিতাঃ কিইইইই আমি তোমার খালা লাগি? আমিঃ তো কি লাগেন বলবেন তো। সঞ্জিতাঃ আমি সঞ্জিতা। আমিঃ নায়ুজুবিল্লাহ। আমার সব কেড়ে নিয়ে এখন কি চাইতে কল দিছ..? সঞ্জিতাঃ আমি আবার কি কেড়ে নিলাম? আমিঃ সবকিছু একেবারে সব। সঞ্জিতাঃ চুপ একদম। আমিঃ রাখি আমি। তোমার সাথে আমার কোনো কথা নেই। সঞ্জিতাঃ ওই শুনো। আমি না শুনেই কেটে দিলাম।। তারপর ফোন টা অফ করে নাক ঢেকে দিলাম ঘুম। সকালে উঠে খেয়ে অফিস চলে আসলাম। অফিসে ডুকেই সেদিনের সেই মেয়েটা কে দেখতে পেলাম। মানে সামিরা। আমি এগিয়ে গেলাম কথা বলার জন্য। আমিঃ হাই কেমন আছ? সামিরাঃ ভালো আপনি কেমন আছেন? আমিঃ চলছে। কাল যে অফিসে দেখলাম না? সামিরাঃ ছুটি নিছিলাম। আমিঃ ওহ। এমন সময় দেখলাম সঞ্জিতা আসতেছে। ভিতরের সয়তান জেগে উঠল। আমিঃ জানো সামিরা আজকাল কার মেয়েরা কেমন হয়..? সামিরাঃ না। কেমন হয়? আমিঃ আজকাল কার মেয়েরা ছ্যাছরা টাইপের। ব্রেক আপ করার পরও গভির রাতে ফোন দিয়া জ্বালায়। ( জোরে জোরেই বললাম) সঞ্জিতা কথাগুলো শুনল। আমার দিকে রাগি ভাবে তাকিয়ে চলে গেল নিজের রুমে।।আহা আমার যে কি ভালো লাগছে বলে বুঝাতে পারব না। কিন্তু সেগুড়ে বালি। কিছুক্ষন পর পিয়ন এসে বলল। আমাকে মেডাম ডাকছেন। যাহোক আমি ভাব সাব নিয়া গেলাম। গিয়া সোজা রুমে ডুকে গেলাম। আমিঃ সঞ্জিতা ডেকেছ...? সঞ্জিতা কিছু না বলে আগে এসে আমার কলার ধরল। সঞ্জিতা; আমি ছ্যাছরা?? আমি; আপনি কেন হতে যাবেন। আমার প্রাত্তন গালফ্রেন্ড ছ্যাছরা সঞ্জিতাঃ কিইইইই এবারে কলার চেপে ধরে আমার মুখ পুরো ওর মুখের কাছাকাছি নিয়া গেল। আমিঃ মেডাম ছাড়ুন কেমন যেন লাগছে। কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। সঞ্জিতাঃ কি করবি তুই? যা করার তাই করে ফেললাম। দু ঠোট এক করে নিলাম। কিছুক্ষন পর ছেড়ে দিয়ে আমি আর নাই। আমি রুম থেকে চলে আসলাম।। এসে নিজের ডেক্সে বসলাম। কাজে মন দিতে চাইলাম। কিন্তু পারছিনা। কি করলাম এটা। দু বছর প্রেম করছি তখনও একবার ও করিনাই। আর আজকে কি করে ফেললাম। ভাবতেই লজ্জা লাগছে। না জানি সঞ্জিতার কি অবস্থা। একটা ফাইল রেডি করলাম কোনোরকমে। এখন আবার সঞ্জিতার রুমে যাব। কিন্তু কেমন যেন লজ্জা লজ্জা লাগছে। সাহস নিয়া গেলাম। দরজা খুলেই বললাম,,, আমিঃ আসব ম্যাম? সঞ্জিতাঃ হুম আসো আমি ভিতরে ডুকলাম। সঞ্জিতাঃ বাহ বাহ এত ভদ্র কবে থেকে হলা। ম্যাম বইলা ডাকতেছ? আমিঃ ইয়ে মানে আপামনি বইলা ডাকি? সঞ্জিতাঃ চুপ কি করতে আসছ সেটা বলো। আমিঃ এই নাও দেখ হয়েছে কিনা। সঞ্জিতা নিয়ে দেখতে লাগল। আর আমি সঞ্জিতাকে। সঞ্জিতার মধ্যে কোনো ঝড়তা নেই। এমন ভাবে আছে যেন কিছুই হয়নাই। সঞ্জিতাঃ ওই কি দেখছ? আমিঃ কিছু না। ঘ্রান নিচ্ছি সঞ্জিতাঃ কিসের..? আমিঃ কেউ মনে হয় বিড়িয়ানি খাবে। বিড়িয়ানির ঘ্রান নিচ্ছি। সঞ্জিতাঃ তুমি খেতে চাও? আমিঃ কোথা থেকে খাব। কে আনছে জানিনা তো। জানলেও বলব কিভাবে? সঞ্জিতাঃ আচ্ছা তুমি বস। আমিঃ কেন? সঞ্জিতাঃ বসতে বলছি বস। আমি বসলাম একটা চেয়ারে। এরপর দেখলাম সঞ্জিতা একটা টিফিন বক্স বেড় করল। সাথে প্লেট ও। বিড়িয়ানি নিল প্লেটে। তারপর আমাকে দিল। সঞ্জিতাঃ নাও খাও এবার আমিঃ না মানে আমার হাত পরিষ্কার না সঞ্জিতাঃ আচ্ছা দাড়াও দেখছি সঞ্জিতা একটা গ্লাস দিয়ে পানি ঢেলে নিজের হাত ধুইল। তারপর যা হলো তা আশা করিনি। সঞ্জিতা আমাকে খাইয়ে দিতে লাগল। আমিও সুযোগ ছাড়লাম না। খাওয়া শুরু করলাম। খাওয়া শেষে সঞ্জিতাঃ কেমন লাগল খাইতে...? আমিঃ অনেক অনেক টেষ্টি। নিশ্চয়ই আন্টি বানিয়েছে সঞ্জিতাঃ না আমি বানাইছি। আমিঃ তুমি রান্না করতে পারো সঞ্জিতাঃ হু আমিঃ আমি এখন আসি। আরো কাজ বাকি আছে। এই বলে বেড়িয়ে আসলাম। নিজের ডেক্সে এসে বসলাম। আজকে আমার হয়েছে টা কি। খালি ঘুরে ফিরে সঞ্জিতার কাছাকাছি হয়ে যাচ্ছি।। তারপর আর কোনো কাজে মন দিতে পারলাম না। অফিস ছুটি হলো। বাসায় চলে আসলাম। রাতে শুয়ে শুয়ে সেই অফিসের ঘটনা টাই মাথায় ঘুরতেছিল। প্রথমে পাপ্পি। পরে খাবার খাওয়া। এমন সময় কল আসল। দেখলাম সঞ্জিতা কল করছে। রিসিভ করলাম। আমিঃ হুম বলো সঞ্জিতাঃ কাল বিকাল পাচ টায় পুকুর পাড়ে আসবা আমিঃ কেন? সঞ্জিতাঃ জানতে হবেনা। আসিও প্লিজ আমিঃ ওকে। সঞ্জিতাঃ অকে এখন রাখি। বাই সঞ্জিতা কেটে দিল। আমার মাথা কাজ করতেছে না। ও আবার কেন ডাকল ওইখানে। ধ্যাত। ঘুমিয়ে গেলাম। পরদিন শুক্রবার ছিল। তাই দেরি করে ঘুম থেকে উঠলাম। বিকালে সঞ্জিতা বলছিল দেখা করতে। তাই বিকালে রেডি হয়ে ছুটলাম পুকুরের পাড়ের উদ্দেশ্যে। ওইখানেই আমি সঞ্জিতাকে প্রথম প্রপোজ করছিলাম। ব্রেক আপ ও ওইখানেই হইছে। আজকে আবার কি হবে কে জানে। পৌছে গেলাম সেখানে। দূর থেকে দেখলাম সঞ্জিতা দাড়িয়ে আছে। আমি আস্তে আস্তে সঞ্জিতার কাছে গেলাম। আমিঃ বলো কেন ডেকছ..? সঞ্জিতাঃ.....???????? To be continue

কোন মন্তব্য নেই: