সকাল থেকে বাসা খুজতে বের হয়ছি আমি আর আমার বন্ধু দুইজন আসছি রাজশাহী থেকে ঢাকা বলেছিলো তার বাসায় আমাকে নিয়ে যাবে ওইখানে থেকে পড়াশোনা চলবে আমাদের দুইজনের কিন্তু আমার বন্ধুর ও ওইটা নিজের বাসা না ওর চাচার বাসা ওদের বাসায় মেহমান আসছে তাই আমাদের এখন বাসা খুজতে বের হয়ছে। আসতে আসতে শীত চলে যাচ্ছে এখন সূর্য এর আলো এসে লাগলেই গরম লাগছে।
অনেক বাসায় গেলাম সব বাসায় বলছে ব্যাচেলর এর ভাড়া হবে না।
আমি - দোস্ত কথায় যাবো রে যেই বাসায় যাচ্ছি নিবে না বলছে। বউ লাগবে নাকি বা পরিবার এখন কি করবো বল।
হাবিব - চিন্তা করিস না সামনে চল দেখি বাসা পেয়ে যাবো আসা করি। ( বন্ধুর নাম হাবিব)
- আচ্ছা এই বাসায় চল।
- হুম থাম কলিংবেলটা বাজায়।
হাবিব কলিংবেল বাজায় দাঁড়ায় আছে আমিও দাঁড়িয়ে আছি বুজতেই পারছি এইটাও হবে না একজন ভদ্রলোক এসে দরজা খুললো।
হাবিব - আসসালামু আলাইকুম আংকেল।
আংকেল - কাকে চায় তোমাদের???( সালামের উত্তর নিয়ে)
হাবিব - আংকেল আমরা বাসা খুজছিলাম।
- ওহ আচ্ছা কে কে থাকবা????
- আমি আর আমার বন্ধু।
- ওহ আচ্ছা। তোমাদের ভাড়া দিতে পারি যদি তোমরা ছাদে না যাও তাহলে।
- রাজি আমরা।
- ওকে। তাহলে সব কথা পরে বলবো তোমরা আগে ভিতরে এসে সব দেখে নাও।
আমি শুধু অবাক হয়ে শুনছিলাম ওদের কথা বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে এই বাসায় আমাদের হয়ে যাবে। কিছু টাকা নিলো আংকেল আমরাও রুমে আসলাম আমাদের জন্য শুধু একটাই রুম দুইজন একসাথে থাকবো। কিন্তু ছাদে তো আমার না গেলে ভালো লাগে না বাসায় ও ছাদে যেতাম কিন্তু এইখানে তো ছাদে যেতে মানা করেছে। এখন কি করবো দেখি। এইখানে এসেই একটু পর সন্ধ্যা হয়ে গেলো। দুইজন বিছানায় শুয়ে গেমস খেলছি।
আমি - দোস্ত ভাবতেই পারিনি হয়ে যাবে।
- হুম দেখলি আমার জন্য বাসা পেয়ে গেলাম।
- হুম দেখলাম চল বাইরে থেকে আজকে কিছু খেয়ে আসি।
- হুম ভালো বলছিস চল ঘুরেও আসা যাবে।
- হুম।
যেই ভাবা সেই কাজ দুই বন্ধু রাতে বাইরে চলে আসলাম। রাস্তায় হাটছি সামনেই দেখলাম চটপটির দোকান ইচ্ছা করলো খেতে।
আমি - চল চটপটি খায়।
- আচ্ছা চল।
আমি আর হাবিব দোকানে গেলাম চটপটি দিতে বলে বসলাম কিছুক্ষণ পর দিলো। আমি আর হাবিব খাচ্ছিলাম হটাৎ চোখ সামনের দিকে গেলো দুইটা মেয়ে এইসময় বসে ফুচকা খাচ্ছে আর ঝালে গাল গুলা ফুলাচ্ছে লাল হয়ে গেছে খাওয়া বাদ দিয়ে মেয়েটার দিকে তাকাই আছি।
হাবিব - কিরে খা।
- হ্যা খাচ্ছি।
হঠাৎ মেয়েটা চিল্লায় উঠলো ঝালে পানি পানি করে ঝাল যখন খেতে পারে না তো নেই কেনো আজব মেয়ে সব ওদের দেখে কিছু টা হেসেই ফেললাম হাবিব ও হাসছিলো মেয়েটা পানি খেয়েই আমার দিকে তাকালো রাগি চোখে আমি আর না তাকিয়ে চটপটি খেতে শুরু করলাম। মেয়েটা আমার সামনে আসলো।
- এইজে অন্যদের দেখে খুব হাসি পাই হ্যা??????
আমি - জি আমাকে বলছেন???? ( বাচ্চা বাচ্চা ভাব নিয়ে)
- তো কাকে বলবো হ্যা????? যত্তসব দাত ভেঙে দিবো এইভাবে হাসলে।
মেয়েটা কি বলছে বুজতেই পারছি না আমি তো তার চোখের দিকে তাকাই আছি বেশ মায়াবি। হঠাৎ মনে হলো না এই মায়ায় পরা যাবে না পরলেই জীবন টা শেষ হয়ে যাবে। এইদিকে দেখি হাবিব ওই মেয়ের সাথে কথা কাটাকাটি করছে। আমি টেনে নিয়ে চলে আসলাম।
আমি - কিরে তুই কেনো চিল্লা চিল্লি করছিলি????
- আবে তোকে আমাকে এসে এইভাবে কথা শুনাবে আমি ছেড়ে দিবো নাকি বেয়াদব মেয়ে ছিলো।
- হ্যা ঠিক বলছিস বেয়াদব মেয়ে চল বাসায় যায়।
- আচ্ছা চল।
আমি আর হাবিব হাটছি আমার মনে মেয়েটার কথা ভাসছে দুইটা মেয়ে ছিলো একি দেখতে কিছুটা হয়তো বোন হবে আসার সময় দেখলাম আমাকে যেই বকছিলো সেই মেয়েটা সেই রাগে ফুলে আছে খেয়ে ফেলবে মনে হচ্ছিলো আমার ওর রাগি চেহারা দেখেই বেশ ভালো লাগছিলো।
হাবিব - কিবে কোথায় হারিয়ে গেলি?????
- কই????
- কখন থেকে ডাকছি তোকে আমি????
- কখন ডাকলি????
- চুপ চল বাসায় চলে আসছি।
বাসায় ধুকতে যাবো তখনই আংকেল আমাদের সামনে হাজির।
আংকেল - কোথায় গেছিলে দুইজন?????
আমি - এইতো বাইরে খেতে গেছিলাম।
- তোমাদের ডাকতে গেছিলাম খাওয়ার জন্য দেখলাম তোমরা নেই আর শুনো বেশি রাত করে বাসায় ফেরা যাবে না মনে রেখো।
- আচ্ছা আংকেল।
- তো এখন খাবে????
- না খেয়ে আসছি আংকেল।
- আচ্ছা যাও রুমে।
আমি আর হাবিব রুমে এসে বিছানায় শুয়ে পরলাম কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছি। আজকের দিন টা অনেক কিছুই হলো। আজকে বাসা না পেলে রাস্তায় থাকতে হতো। যাইহোক একটা ভালো ঘুম দেই। সকালে ছাদে যাবো ভাবলাম সেই ভাবনা নিয়েই শুয়ে পরলাম।
to be continue.........................
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৯
Romantic Love Story | Bangla Best Love Story In 2019 Part (1)
Tags
# ভালোবাসা গল্প
About শেষ গল্পের সেই ছেলেটি
ভালোবাসা গল্প
Tags
ভালোবাসা গল্প
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন