দেমাগি মেয়ের অপমান
৩য় পর্ব
লেখকঃমো আসাদ রহমান
কোটচাঁদপুর ঝিনাইদহ
সবাইকে বিদায় জানিয়ে দৃষ্টির সাথে ঢাকায় চলে আসলাম।দৃষ্টিদের বাসা বেশ বড়।দৃষ্টি আমাকে নিয়ে বাসার ভেতরে চলে গেলো।আমার শশুর শাশুড়ি তো মহা খুশি তাদের একমাত্র মেয়ের জামাই এসেছে।
শাশুড়িঃবাবা রাস্তায় আসতে কোনো অসুবিধা হয়নি তো?
আমিঃনাহ কোনো অসুবিধে হয়নাই।
শশুরঃতা বাবা তোমার সাথে পরে কথা হবে।অনেক দূর হতে এসেছে যাও এইবার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে একটু বিশ্রাম নাও।তারপর না হয় বাকি কথা বলবো কেমন?এই কথা বলে শশুর মশাই দৃষ্টিকে বললো দৃষ্টি যাও জামাই বাবাজি কে নিয়ে তোমার রুমে যাও।
দৃষ্টিঃ কেনো এই গাইয়া ছেলেকে কেনো আমার রুমে নিতে যাবো??
শাশুড়িঃএ কেমন কথা মা?মামুন তোমার স্বামী তুমি ভুলে যাচ্ছো??
দৃষ্টিঃ নাহ তাহ ভুলি নাই।আর এটাও ভুলি নাই এই গাইয়া ছেলেকে আমি স্বামী হিসাবে কোনো দিন মানবো না।
আমিঃএই তুমি এইসব কি বলছো মজা করছো তুমি??
দৃষ্টিঃ অই তোর মতন গাইয়া ছেলের সাথে আমি মজা করবো কোনো দুঃখে বলতে পারিস?
আমি তো তোকে স্বামী হিসাবে মানি না আর কোনো দিন মানবো নাহ।
এখন হয়তো তোর মনে প্রশ্ন হতে পারে আমি তোকে বিয়ে করলাম কেনো??
হ্যা তোকে আমার বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা ছিলো না,কিন্তু আমার আব্বু আম্মু আর আমার মামার মান সম্মান বাঁচাতে আমি তোর মতন একটা গাইয়াকে বিয়ে করেছি বুঝলি??
কোনো দিন স্বামীর অধিকার ফলাতে আসবি না
কথা ভালো করে শেষো হলো না
তার আগেই
ঠাসসসসসসস ঠাসসসসসস
ঠাসসসসসসসসস
ঠাসসসসসসসস
আরে ধুর কি ভাবছেন দৃষ্টি আমাকে মারছে আপনি ভুল ভাবছেন দৃষ্টির আব্বু দৃষ্টিকে মারছে...চড় খেয়া দৃষ্টি বললো আব্বু তুমি আমাকে মারলে?
শশুরঃমেরেছি বেশ করেছি।আমাদের সামনে তুই কি করে বলিস তুই নাকি মামুনকে তোর স্বামী হিসাবে মানিস নাহ।আরে আমরা যে কদিন বেচে আছি ততদিন আমরা মামুনকে এই বাড়ির জামাই হিসেবেই দেখতে চাই।আর শুন এরপর যেনো দ্বিতীয়বার না শুনি
দৃষ্টি তো তার বাবার হাতে চড় খেয়ে ছিঁচকাঁদুনীর মত কান্না করে দিছে আর বলছে আব্বু তুমি আমাকে কোনো দিন কোনো কারনে মারো নাই।কিন্তু আজ এই গাইয়া ছেলের জন্য আমার গায়ে হাত তুললে??
শশুরঃসেটাই আমার ভুল ছিলো যদি এর আগেই তোকে মেরে একটু সোজা পথে নিতাম তোকে এতো বেশি স্বাধীনতা না দিতাম তাহলে এতো বাড় বাড়তে পারতি না।এইবার যা মামুনকে নিয়ে নিজের রুমে যা।আর নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে নে।
দৃষ্টি আমাকে আর কিছু বললো না তবে ভাব দেখে মনে হচ্ছে আমার উপর খুব রেগে গেছে মনে হয় আমাকে কাচা খেয়ে ফেলবে।
দৃষ্টিঃ এই চল আমার সাথে
আমি দৃষ্টির পিছনে পিছনে যেতে লাগলাম।
দৃষ্টিএ রুমে যেই প্রবেশ করেছি দৃষ্টি রুমের দরজা বন্ধ করে দিলো।
তারপর ঠাসসসসস ঠাসসসসসস ঠাসসসসসস
কয়েকটা চড় আমাকে বসিয়ে দিলো।
আমি তো কিছুই বুঝতে পারলাম না এই মেয়ে আমাকে এইভাবে মারলো কেনো?
আমি তো কোনো দোষ করিনাই।তাহলে কেনো মারলো?
আমিঃএই তুমি আমাকে মারলে কেনো?
দৃষ্টিঃ মেরেছি বেশ করেছি আজকে তোর জন্য আমার আব্বু আমার গায়ে হাত তুলেছে।গাইয়া ক্ষেত তুই কি করে ভাবলি আমি তোকে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছি।আরে তোকে যদি স্বামী হিসেবে মেনেই নিতাম তাহলে তো প্রথম দিনই আমাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হয়ে যেতো....ভেবে দেখতো আমি তোকে কখনো আমার কাছে আসতে দিয়েছি নাকি??হ্যা যতটুকু দেবার দরকার আমি ততটুকু কাছে আসতে দিয়েছি।যাতে করে তুই আমাকে বিয়ে করিস।আর আমাকে বিয়ে করিস।ভাবিস না আমি তোকে ছেড়ে দিবো।কিন্তু আমি তোকে বাধ্য করবো আমাকে ছেড়ে দিতে।আর হ্যা আমি তোকে ছেড়ে দিলে লোকে আমাকে খারাপ বলবে কিন্তু তুই যদি আমাকে ছেড়ে দিস তাহলে কেও আমার আমার দোষ ধরতে পারবে না।আর শুন আমি তোকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছি কেনো জানিস,,তোকে একটু উচিৎ শিক্ষা দেওয়া দরকার।কিন্তু মন মত হয়তো দিতে পারবো নাহ।তবে আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি তোকে জ্বালাবো।আর শুন তুই যদি গ্রামে চলে যাস বা আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাস তাহলে তোর আব্বু আম্মুকে আমি মিথ্যা কথা বলে তোর উপর খেপিয়ে দিবো।
আমি তো দৃষ্টির কথা গুলো শুনে অবাকের পর অবাক হচ্ছি গ্রামের দৃষ্টির মধ্যে আর শহরের দৃষ্টির মধ্যে আমি মিল খুজছিলাম। কিন্তু কিছুতেই দুই দৃষ্টিকে মিলাতে পারছি না।আমার ভাগ্যে কি এমনি ছিলো।নাহ নাহ এ হতে পারে না।আমি জানি দৃষ্টি একদিন আমাকে তার স্বামী হিসাবে গ্রহন করবে।আমি আমার পুরোটা দিয়ে চেষ্টা করবো।দৃষ্টি আমাকে মেনে নিতে বাধ্য হবে।
আমিঃশুনো সোনা বউ আমার তুমি আমাকে যতজাই করো আমি তোমাকে ছারছি না।
দৃষ্টিঃ দেখা যাবে কতদিন এইভাবে ধরে রাখিস।আমি জানি তুই কিছুদিন পর লেজ গুটিয়ে পালাবি।
আমিঃযদি আমি বলি কিছুদিন পর তুমি আমাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিবে??
দৃষ্টিঃ আশা পেতে বসে থাকো চান্দু।সেটা কোনো দিন হবে না।আমি তোকে স্বামী হিসেবে মেনে নিচ্ছি নাহ।
আমিঃঅই আমার এতো কথা বলতে ভালো লাগছে নাহ।আমি ফ্রেশ হতে গেলাম।
দৃষ্টিঃ আরে আরে করে কি?আগে আমি ফ্রেশ হবো তারপর তুই হবি।
আমিঃনাহ আগে আমি হবো।
দৃষ্টিঃ বেশি কথা না বলে চুপ করে বসে থাক।আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি তারপর তুই হবি। আর শুন আমার বাসায় আমার অনেক ফ্রেন্ড আছে।তারা মাঝে মাঝেই আমাদের বাসায় আসে তুই কিন্তু ভুলেও তাদের কাছে আমার স্বামীর পরিচিয় দিবি না।
আমিঃকেনো আমি তো তোমার স্বামী তাহলে পরিচয় কেনো দিবো না।
দৃষ্টিঃ আরে তোর মত গাইয়া একটা ছেলে আমার স্বামী এটা যদি আমার ফ্রেন্ডরা শোনে তাহলে তো আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে।আর তাদের কাছে তো আমার মানসম্মান কিচ্ছু থাকবে না।তাই প্লিজ আমার মানসম্মন এইভাবে নষ্ট করিস না।
আমিঃবাহ বাহ দৃষ্টি নিজের মান সম্মানের জন্য নিজের স্বামী কে অস্বীকার করলে।ভালো বেশ ভালো দেখো একদিন এই জন্য তোমাকে অনেক
মাশুল দিতে হবে দেখে নিও।
দৃষ্টিঃ সেইদিন কোনো দিন আসবে না।
তোর এই আজাইরা কথা শোনার আমার টাইম নাই।আমি গেলাম
এইকথা বলে দৃষ্টি ওয়াশরুমে চলে গেলো।আমি সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলাম খুব কষ্ট হচ্ছে।দৃষ্টি কি করে পারলো নিজের স্বার্থের জন্য আমার সাথে এতো বড় নাটক করতে।তবে দৃষ্টি যা করেছে এতে আমার ক্ষতি হলেও আমার পরিবারের তো উপকার হয়েছে।আর আমিও নাহয় চেষ্টা চালিয়ে যায় দেখি দৃষ্টির মনে আমার জন্যন্য যায়গা করে নিতে পারি কিনা?তবে দৃষ্টি যেই ধরনের মেয়ে তাতে করে মনে হচ্ছে নাহ যে খুব তাড়াতাড়ি কিছু হবে বা হতে যাচ্ছে আমার উপর দিয়ে হয়তো অনেক বড় ঝড় ঝাপটা যেতে পারে যত যাই হোক না কেনো আমি দৃষ্টিকে ছাড়ছি নাহ।এমন সময় আম্মু ফোন
আমিঃহ্যালো আম্মু বলো?
আম্মুঃবাবা তোরা ভালোভাবে পৌছিয়েছিস তো??
আমিঃহ্যা আম্মু একদম ভালো ভাবে পৌছে গেছি।আর আম্মু তোমরা কিন্তু আমার জন্য চিন্তা করো না।আব্বুকে চিন্তা করতে মানা করো।আমু এখন রাখছি পরে কথা হবে।আম্মু কিছু বলার আগেই আমি কল কেটে দিলাম।আসলে আমার খুব কান্না পাচ্ছে কখন কেঁদে দিবো সেটা নিজেই জানিনা।আর যদি একবারর আমি আম্মুর সামনে মানে কথা বলার সময় কেঁদে দিতাম তবে হাজার টা প্রশ্নের জবাব দিতে হতো।আর আব্বু আম্মু আমার জন্য টেনশন করতো।কিন্তু আমি চাইনা আমার পরিবারের কেও আমার জন্য অযথা চিন্তা করুক।এটা আমার ব্যাপার আমি ভালো বুঝে নিবো। দৃষ্টিকে এই রূপের কথা আব্বু আম্মুকে বললে হয়তো বিশ্বাস নাও করতে পারে কারন দৃষ্টি যখন আমাদের বাসায় ছিলো সবার সাথে খুব ভালোভাবেই মিশে গেছিলো।আর সবার সাথে ভালো ব্যাবহার করেছে।আব্বু আম্মু তো দৃষ্টিকে নিজের মেয়ের মত ভাবতে শুরু করে দিয়েছিলো।আসলে দৃষ্টি যখন আমাদের বাসায় ছিলো তখন আমারো মনে হয়েছিলো দৃষ্টি আমার জন্য পারফেক্ট।আমি দৃষ্টিকে বিয়ে করে কোনো ভুল করিনাই।কিন্তু আমি তো পুরোপুরি ভুল ছিলাম দৃষ্টিকে বিয়ে করে মনে হয় জীবনের সব থেকে বড় ভুল করে ফেলেছি।এখন ভুল সুধরাতে হবে।।এরি মাঝে দৃষ্টি বেড়িয়ে এসেছে।আমার কাছে এসে বললো যা এবার তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয়।তারপর আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি দৃষ্টি আয়নার সামনে বসে আছে।আমাকে দেখে দৃষ্টি বললো কিরে আমার দিকে অমন করে তাকিয়ে আসিস কেনো?
আমিঃআমার বউকে দেখছি।।
দৃষ্টিঃ উফফফ তোকে আর কত বার বলবো আমাকে তুই বউ বলবি না।।
আমিঃকিন্তু তুমি তো আমার বিয়ে করা বউ তাইনা??
দৃষ্টিঃ সেটা সুধু কাগজে কলমে আমি মন থেকে তো মানি না।
আমিঃআচ্ছা চলো না খেয়ে আসি?আমার খুব খিদে পেয়েছে।
দৃষ্টিঃ তোর খিদে পেয়েছে তুই খেয়ে আয়।আমাকে বলছিস কেনো??
আমিঃবারে তুমি আমার বউ তাই না।আমি কি পারি আমার বউ রেখে খেয়ে আসতে।
দৃষ্টিঃ হয়ছে এতো আদিক্ষেতা দেখাতে হবে না।সত্যি বলতে আমারো খুব খিদে পেয়েছে।
আমি;তাহলে চলো খেয়ে আসি।
দৃষ্টিঃ তুই যা আমি একটু পরে আসছি..
আমিঃকেনো একসাথে খেলে কি হবে চলো না দুজন একসাথে খাবো। দৃষ্টি রেগে গেলো বললো অই ফকির তোর সাহস কি করে হয় আমার সাথে খাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করার।তোর এতো কথা সহ্য করছি শুধু আব্বুর জন্য তানাহলে আমি সেই কখন তোকে আবার বাসা থেকে বেড় করে দিতাম।তুই আমার চোখের সামনে থাকলে আমার গা জ্বলে।
আমিঃতাহলে আসো পানি ঢেলে নিভিয়ে দেই।
দৃষ্টিঃ অই তুই ফাজলামি রাখ যাহ খেতে যাহ।
আমিঃতাহলে তুমি আমার সাথে যাবে না তাই তো??
দৃষ্টিঃ হ্যা যাবো না,আমি যদি খিদেতে মরেও যাই তাও তোর সাথে খাবো না।
আমি আর কি করবো আমি আবার খিদে সহ্য করতে পারি না।তাই একাই চলে এলাম।আমার জন্য অনেক কিছু রান্না হয়েছে।শাশুড়ি আমাকে জিজ্ঞাস করেছিলো দৃষ্টি কোথায়??
আমি বলেছিলাম দৃষ্টির নাকি কোনো এক কাজ আছে সেটা শেষ করেই আসবে।তারপর শাশুড়ি আম্মা আমাকে খেতে দিলো।
আমি খেতে শুরু করে দিলাম কিছুক্ষণ পর দৃষ্টি আসলো তবে আমার থেকে দূরে বসলো আমি কিছু বললাম না যে যেভাবে থাকতে চাই তাকে সেইভাবেই দিবো।আমার যতটুকু করার বা বলার দরকার সেটুকু করবো এর বেশি নাহ।খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে চলে গেলাম।দৃষ্টিও রুমে চলে আসলো আমি বিছানায় শুতে যাবো ঠিক তখনি আরে আরে করে কি করে কি?
আমিঃকি করেছি আমি??
দৃষ্টিঃ তুই আমার বিছানায় শুতে যাচ্ছিস কেনো??
আমিঃতো আমি ঘুমাবো কোথাও??
দৃষ্টিঃ কেনো তোর নিজের বাসায় যেখানে ঘুমাতি সেখানে মানে শোফায় ঘুমাবি।
আমিঃধুর কেনো যে তোমাকে বিয়ে করতে গেলাম?
দৃষ্টিঃ তাহলে আমাকে মুক্তি দিয়ে দে?
আমিঃনাহহ সেটা দিবো না।
দৃষ্টিঃ তাহলেলে শোফায় গিয়ে ঘুমা।
আমি আর কিছু না বলে ছাদে চলে গেলাম।ভালোই লাগছে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে।আমি ছাদের একপাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।কিছুক্ষণ পর কেনো জানিনা দৃষ্টি আসলো তারপর
দৃষ্টিঃ চল রুমে চল এখানে এইভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো??
আমিঃএমনি ভালো লাগছে তাই দাঁড়িয়ে আছি...
দৃষ্টিঃ আর দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না চল রুমে চল।
আমিঃতুমি গিয়ে ঘুমিয়ে পরো আমি কিছুক্ষণ পর আসছি।
দৃষ্টিঃ আরে আব্বু আম্মু যদি জানতে পারে তুই ছাদে দাঁড়িয়ে আছিস আর আমি রুমে ঘুমাচ্ছি আবার কিছু কথা শুনতে হবে।তার থেকে তুই রুমেই চল
মনে মনে ভাবলাম না আমার জন্য বউ সকালে চড় খেলো আবার হয়তো অনেক কথা শুনতে হতেও পারে তাই আমি দৃষ্টির সাথে রুমে চলে গেলাম
দৃষ্টিঃ যা এবার শোফায় ঘুমিয়ে পর।আমার অনেক ঘুম পাচ্ছি আমি ঘুমাতে গেলাম।এই বলে দৃষ্টি বিছানায় শুয়ে পড়লো আর আমি শোফায় ঘুমাতে গেলাম।
হারামি বউ আমার একটু খেয়াল রাখে না।
চলবে
বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯
দেমাগি মেয়ের অপমান
Tags
# মাইন্ড হ্যাকিং
About শেষ গল্পের সেই ছেলেটি
মাইন্ড হ্যাকিং
Tags
মাইন্ড হ্যাকিং
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন