দেমাগি মেয়ের অপমান
৮ম পর্ব
লেখকঃ মোঃ আসাদ রহমান।
"কোটচাঁদপুর" ঝিনাইদহ"
নিচে নেমে দেখি দৃষ্টি মন খারাপ করে বসে আছে।
আমি দৃষ্টির কাছে গেলাম।
আমিঃকি ব্যাপার তোমার কি মন খারপ??
দৃষ্টিঃ ...........
আমিঃকি হলো বলো,,এমন ভাবে বসে আছো কেনো??
দৃষ্টিঃ না তেমন কিছু হয়নাই...
আমিঃকিছু একটা তো হয়েছে আমায় বলো প্লিজ সোনা বউ আমার।
দৃষ্টিঃ আমার না আব্বু আম্মুর কথা খুব মনে পরছে,,আমি আব্বু আম্মুর সাথে অনেক অন্যায় করে ফেলেছি।আমি তাদের কাছে মাফ চাইবো,প্লিজ তাদের আমার কাছে এনে দে না।
আমি মনে মনে বললাম তাদের সাথে একদিন খারাপ ব্যাবহার করে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে কিন্ত্ আমার সাথে তো দিনের পর দিন খারাপ ব্যাবহার করেইছো আবার করেও দিচ্ছো সেই দিকে খেয়াল থাকে না।আসলেই তো পর তো পরই হয়....
আমিঃআচ্ছা আমি দেখি কি করতে পারি।
দৃষ্টিঃ তোর কাছে আমি এটাই চাচ্ছি তুই প্লিজ তাদের আবার এই বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে আয় না।
আমিঃআচ্ছা আমি কালকেই তোমাদের গ্রামের বাসায় যাবো....
দৃষ্টিঃ কাল তো তোর যাওয়া হবে না....
আমিঃকেনো যাওয়া হবে না কেনো???
দৃষ্টিঃ কাল একটা মিটিং আছে আর আমাকে তোর হেল্প করতে হবে।
আমিঃআচ্ছা মিটিং শেষ করে আমি কালকেই রওনা দিয়ে দিবো...
দৃষ্টিঃ হ্যা ঠিক আছে,,
আমিঃকিছু খেয়েছো??
দৃষ্টিঃ না খাইনি তবে খেয়ে নিবো
আমাকে একবার জিজ্ঞাস করলো না,আমি খেয়েছি কিনা।থাক না জিজ্ঞাস করলো জিজ্ঞাস করলে আবার যদি মায়ায় পরে যায়।এমনিতেই যেই মায়াতে পরেছি সেটা থেকে বের হবো কি করে সেটাই জানিনা।
বেশি মায়ায় জড়ালে,, আরো বেশি অপমান সহ্য করতে হবে।আমি জানিনা এর শেষ কবে হবে।
আমি আমার রুমে চলে এলাম।কারন সকালে অফিসের কিছু কাজ এখন করে রাখবো তাহলে ফ্রি মাইন্ডে মিটিং এ মন দিতে পারবো।
কাজ করতে করতে রাত প্রায় ১২টা বেজে গেছে।
ঘুম পাচ্ছে খুব আমি দরজা না আটকিয়ে অল্প একটু খোলা রেখে কাজ করছিলাম হঠাৎ দরজার দিকে চোখ পড়তেই দেখি কিছুর একটার ছায়া দরজার সামনে থেকে সরে গেলো।কিসের ছায়া ছিলো সেটা দেখার জন্য আমি বাহিরে বের হলাম।কিন্তু বাহিরে কেও ছিলো না।রাত অনেক হয়েছে আর ঘুম পাচ্ছে তাই হয়তো ভুলভাল দেখেছি এতো কিছু না ভেবে ঘুমানোই উত্তম।তারপর রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।দৃষ্টিকে দেখতে ইচ্ছা করছিলো কিন্তু এতো রাতে দৃষ্টির রুমে গেলে দৃষ্টি হয়তো অনেক রেগে যাবে।থাক আজ আর যাবো না।অভ্যাস পাল্টাতে হবে দৃষ্টিকে দেখা ছাড়া থাকাতে হবে।
কখন ঘুমিয়ে পরেছিলাম সেটা আমি জানিনা।সকালে কারো হাতের আলতো ছোয়ায় ঘুম ভাঙলো।চোখ খুলতে দেখি দৃষ্টি আমার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃকি ব্যাপার তুমি এতো সকালে আমার রুমে কি করো??
দৃষ্টিঃ শুধু সকাল কি বলছো,আমি তো কাল রাত থেকেই এই রুমে ছিলাম...
আমিঃমানে বুঝলাম না,,
দৃষ্টিঃ তোর যে আবার জ্বর আসছে তুই বুঝতে পারছিলি নাহ??
আমিঃকই আমি যখন ঘুমাইলাম তখন তো আমি একদম ঠিক ছিলাম।।
দৃষ্টিঃ ঠিক না ছাই,,কাল রাতে আমি পানি খেতে বাহিরে বের হয়েছিলাম,পানি খাচ্ছি তখন দেখি তোর রুম থেকে আওয়াজ আসছে।আমি শুনতে এলাম তোর রুমের দরজা খোলা ছিলো তাই ভেতরে আসি,আর এসে দেখি তুই শুয়ে আবোল তাবোল এটা ওটা বলছিস।আমি কি যেনো কি মনে করে তোর শরীরে হাত দিয়ে দেখি তোর আবার জ্বর আসছে।
আচ্ছা এক কাজ করিস অফিসে বিকালের দিকে যাস কেমন শুধু মিটিংয়ে জয়েন করলেই হবে।
আমিঃকেনো সকালে যাবো না কেনো??
দৃষ্টিঃ ভালো কোনো ডাক্তারের কাছে যা,আর ভালো করে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে আয়।কেনো দুদিন পর পর এমন জ্বর আসে।
আমিঃআচ্ছা আমি তাহলে ডাক্তার দেখিয়ে অফিস চলে যাবো....
দৃষ্টিঃ হ্যা তাই করিস।
আমি উঠতে যাবো তখন
সেকি তুই উঠছিস কেনো?(দৃষ্টি )
আমিঃমা মানে গতকাল কিছু রান্না করিনাই তো..?তাই এখন রান্না করবো...
দৃষ্টিঃ থাক তোকে আর রান্না করতে হবে না।
তুই শুয়ে থাক,,,
আমিঃআমি শুয়ে থাকলে খাবো কি??
দৃষ্টিঃ অই তো তোর ব.....নাহ কিছু না,,আমি রান্না করে নিয়ে আসছি তুই একটু বিশ্রাম নে।দৃষ্টি চলে গেলো।
আমি এই মেয়ের মতিগতি কিছুই বুঝলাম না।এই আমার সাথে এতো ভালো ব্যাবহার করছে তারপর আবার খারাপ ব্যাবহার করে।আসলে এই মেয়ে আমার কাছে কি চাই,বা এই মেয়ে আমাকে কি দিতে চাই, দৃষ্টি আবার আসলো।
দৃষ্টিঃ আচ্ছা তোর তো প্রিয় খাবার************তাই না???
আমিঃহ্যা তুমি জানলে কি করে??
দৃষ্টিঃ তোর আম্মু বলেছিলো...
আমিঃঅহহ,
দৃষ্টিঃ আচ্ছা তুই যা ফ্রেশ হয়ে আবার শুয়ে থাকবি
আমিঃহু…………………………
আমি উঠে ফ্রেশ হতে গেলাম।
হঠাৎ করেই কেনো জ্বর আসলো সেটা আমার মাথাই আসছে না।ভালো ডাক্তার দেখাতেই হবে।
ফ্রেশ হয়ে এসে আমি নিচে গেলাম।
দৃষ্টি আমাকে দেখে শাসন করা শুরু করে দিলো।
দৃষ্টিঃ আব্বে অই হাদারাম তুই অসুস্থ শরীর নিয়ে নিচে এলি কেনো??
আমিঃনা মানে উপরে ভালো লাগছিলো না।
দৃষ্টিঃ কেনো??
আমিঃআমার সোনা বউ নিচে কি করছে না করছে সেটা দেখতে ইচ্ছা করছিলো।
দৃষ্টিঃ দেখা হয়ে গেছে যা এবার রুমে যা।
আমি;আর একটু থাকি না একটু।
দৃষ্টিঃ নাহ একটুও না।যা বলছি তাই কর রুমে যা
আমিঃআচ্ছা যাচ্ছি,,একটা কথা বলি??
দৃষ্টিঃ হ্যা বল
আমিঃতোমাকে না আজ বউ বউ লাগছে,,
আমার কথা বলতে দেরি না দৃষ্টির রুম পরিবর্তন করতে দেরি নাই। দৃষ্টি আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে চেয়ে আছে।
আমিঃঅই তুমি অমন ভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
আমার তো ভয় ভয় করে।
দৃষ্টিঃ তুই উপরে যাবি নাকি অন্য ব্যাবস্থা নিতে হবে।
আমিঃআচ্ছা যাচ্ছি এএএএএএএএইই
আর কিছু মনে নেই,
আমি সিড়িতে দাঁড়িয়ে দৃষ্টির সাথে কথা বলছিলাম,হঠাৎ করেই আমার মাথা ঘুরে গেছিলো আমি নিজেকে আর সামলাতে পারছিলাম নাহ
আমি পরে গেছিলাম তারপর আর কিছু মনে নেই।
জ্ঞান ফিরতে দেখি আমি দৃষ্টিকে রুমে শুয়ে আছি,আর দৃষ্টি আমার হাত ধরে আমার পাশেই বসে আছে,,তবে দৃষ্টিকে দেখে মন মরা লাগছে.
দৃষ্টিঃ আচ্ছা তুই এতো কেয়ারলেস কেনোরে??
আমিঃকেনো আমি কি করেছি??😭😭
দৃষ্টিঃ আবার বলছে কি করেছি?অই তুই কিভাবে চলাফেরা করিস হা।তখন অইভাবে পরে গেছিলি কেনো?
আমিঃআর বলো না হঠাৎ করেই মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো আর আমিও তাল সামলাতে না পেরে পরে গেলাম।
দৃষ্টিঃ এই জন্য তোকে নিচে নামতে না করেছিলাম,
ভাগ্য ভালো অল্প কিছুর উপর দিয়ে সব গেলো।যদি বড় ধরনের কিছু হয়ে যেতো??
আমিঃকি হবে?
দৃষ্টিঃ সেটা আর শুনে কাজ নেই।আমি খাবার নিয়ে আসছি তুই খেয়ে নে।
আমিঃএই দাড়াও দাড়াও তুমি এখনো বাসায় কেনো??আজ না অফিসের মিটিং আছে।
দৃষ্টিঃ ছিলো সেটা অন্য দিন হবে।
আমিঃকেনো কেনো??
দৃষ্টিঃ মিটিং আমার কাছে অততা বড় নই যে বাসায়
আর বললো নাহ
আমিঃবাসায় কি বলো
দৃষ্টিঃ কিছু না আমি খাবার নিয়ে আসছি।
আমিঃধুর ভালো লাগে না তুমি সব সময়য় আমার কাছে এটা ওটা লুকাও কেনো???
দৃষ্টিঃ তোর সেটা না জানলেও চলবে।
ধুর বাবা দৃষ্টি চলে গেলো।
কিছুক্ষণ পর দৃষ্টি খাবার নিয়ে এসে হাজির।
দৃষ্টিঃ এই নে এইগুলো খেয়ে নে.....
আমিঃতুমি খেয়েছো??
দৃষ্টিঃ পরে খাবো,আমাকে খাবার বেরে দিতে দিতে
আমিঃআচ্ছা চলো না দুজন একসাথে খাবার খাই??
দৃষ্টিঃ তোর খাবার তুই খা,,আমি পরে খেয়ে নিবো বললাম না,, তারপরেও এতো কথা বলার কি আছে শুনি??
আমিঃনা মানে ভাবলাম একসাথে খাবো।
দৃষ্টিঃ অই বেশি কথা বলিস না চুপচাপ খেয়ে নে তো...
আমিঃআচ্ছা খাচ্ছি সব সময় আমাকে বকা কেনো দাও শুনি??
দৃষ্টিঃ আমার ইচ্ছা হয় তাই দেই তোর কোনো সমস্যা আছে তাতে??
আমিঃনাহ আমার কেনো সমস্যা হতে যাবে তুমি তো আমার সোনা বউ তোমার বকা গুলোর মধ্যেও ভালোবাসা মিশে থাকে।
দৃষ্টিঃ উফফ থাম না একটু আর খেয়ে নে।আর শুন না ডাক্তার দেখিয়ে তুই আর আমি গ্রামে যাবো কেমন??
আমিঃকেনো তুমি যাবা কেনো?
দৃষ্টিঃ আমি গিয়া সরাসরি আব্বু আম্মুর কাছে মাফ চাইবো...
আমিঃআচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আমরা আজ বিকালে যাচ্ছি
দৃষ্টিঃ আগে তোকে ডাক্তার দেখাবো তারপর যাবে।
আমি;আমি তো এখন ঠিক আছি,,
দৃষ্টিঃ চুপ তুই ঠিক নেই।
আমিঃআচ্ছা আমি একাই খাচ্ছি তুমি খাবে,,এইই বলে আমি হাতে খাবার নিয়ে দৃষ্টির মুখের সামনে নিলাম।
হায় হায় এটা আমি কি দেখলাম দৃষ্টি গপ করে খেয়ে নিলো।
আমি তো আরো একবার অবাক হলাম।
দৃষ্টিও মনে হলো কিছুটা অবাক হয়েছে,, কি কি করলাম?
দৃষ্টি বসে না থেকে লাজুক একটা ভাব নিয়ে চলে গেলো।
আমি খেয়ে বেরিয়ে দেখি দৃষ্টি রেডি হয়ে গেছে সেই নীল শাড়ী।
দৃষ্টিঃ আমাকে বললো নীল পাঞ্জাবি টা পড়তে।
আমি কি আমার বউয়ের আবদার পূরন না করে পারি।
আমি সাথে সাথে নীল পাঞ্জাবি পরে নিলাম।দৃষ্টি আমাকে বললো কিছু জামা কাপড় নিয়ে যেতে যদি সম্ভব হয় তাহলে ডাক্তার দেখিয়েই নাকি গ্রামের বাড়ি চলে যাবে।
আমি কিছু জামা কাপড় সাথে নিয়ে নিলাম।
ডাক্তার দেখালাম বললো তেমনন কিছু না সিজন চেঞ্জের জন্য এমন হচ্ছে,,কিছু মেডিসিন দিলো বললো ঠিক মত খেলেই নাকি সুস্থ হয়ে যাবো।
দৃষ্টি ডাক্তারকে বললো
দৃষ্টিঃ আচ্ছা এই হাদারামকে একটা ইঞ্জেকশন দেন তো।
ডাক্তারঃকেনো
দৃষ্টিঃ এনি না সময় মত কিছুই করে না আর ঔষধ খাবার বেলায় তো আরো বাহানা।
ডাক্তার আমাকে বললো
আচ্ছা ম্যাম যা বলছে তা কি সত্যি
আমিঃইয়ে না মানে.....
ডাক্তারঃএটা কিন্তু অনেক খারাপ
সময় মত ঔষধ গুলো খাবেন।
আমিঃহ্যা আচ্ছা খাবো
ডাক্তারঃকিছু মনে না করলে একটা কথা বলি??
আমিঃহ্যা বলেন,
ডাক্তারঃআপনাদের দুজনকে তো ভালোই মানিয়েছে তবে কিছুর একটা অভাব আছে
আমিঃকিসের অভাব
ডাক্তারঃএকটা ছোট ছেলে বা মেয়ের
আমি তখন মজা করে দৃষ্টিকে বললাম কি গো তোমাকে কতবার বলেছিলাম আমাকে একটা মেয়ে দাও কিন্তু তুমি দাওনি।দেখলে এখনো আমাদের পরিবার সম্পূর্ণ হয়নি।
কথাটা দৃষ্টিকে রাগানোর জন্য বললাম।
কিন্তু একি দৃষ্টি একটু রাগ করলো না।দৃষ্টিকে দেখে মনে হলো দৃষ্টি আমার কথা শুনে কিছুটা লজ্জা পেয়েছে,আর অনেক খুশি হয়েছে।
দৃষ্টিঃ এইসব কথা পরে বলবো এখন চলো অনেক দূর যেতে হবে।
আমি আরো একবার অবাক হলাম দৃষ্টি আমাকে তুমি করে বললো বলে।
আমি তো খুশি মনে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হলাম গাড়িতে গিয়ে বসার পর আমার উপর শুরু হলো নির্যাতন...
দৃষ্টিঃ অই তুই তখন কি যেনো বলছিলি??
আমিঃকি বললাম আমি?
দৃষ্টিঃ আমি তোকে বাচ্চা দিবো তাই না,কোনো দিন পাবি না তুই...
আমিঃঅমন করো কেনো বলছো স্ত্রীর অধিকার দাওনা সেটা ঠিক আছে,,কিন্তু আব্বু ডাক শোনার সুযোগ তো দাও।
দৃষ্টিঃ উফফ তুই চুপ কর তো(খেয়াল করলাম লজ্জায় আমার বউটার মুখ একদম লাল হয়ে গেছে।
আমিঃকি গো বউ বলো কিছু
দৃষ্টিঃ এখন আমি গাড়ি চালাবো তুই একদম চুপ থাকবি একটাও কথা বলবি না।
আমিঃকথা বললে কি হবে শুনি??
দৃষ্টিঃ আমি তোকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিবো...
আমিঃতোমাকে আর কষ্ট করতে হবে না,আমি একাই নেমে যাচ্ছি
দৃষ্টিঃ এই না না তুই কথা বল,কিন্ত প্লিজ বউ বাচ্চা এই সব নিয়ে কিছু বলবি না,
আমিঃআচ্ছা বলবো না আমি অন্য কিছু বলবো না।
দৃষ্টিঃ হ্যা ঠিক আছে,,অনেক ভালো হবে তাহলে
দৃষ্টি গাড়ি চালাতে শুরু করে দিছে,,
ঢাকা থেকে বেরিয়ে গেছি এখন রাস্তা প্রায় জ্যাম মুক্ত।
খুব ভালো লাগছে।আমি চুপচাপ সেগুলো দেখছি
হঠাৎ দৃষ্টি বললো অই তুই এতো চুপ হয়ে গেলি কেনো??
আমিঃকি বলবো তুমি তো চুপচাপ থাকতে বললে।।
দৃষ্টি তাই বলে এতো চুপ হয়ে যাবি,কিছু তো বল।
আমিঃনা থাক তুমি গাড়ি চালাও,,আমি প্রকৃতি দেখি
দৃষ্টিঃ প্লিজ একদম চুপ হয়ে যাস না।আচ্ছা তোর যা খুশি বল তবুও এমন চুপ থাকিস না।
আমি;না এমনি খুব ভালো লাগছে,কথা বলতে গিয়ে কখন কি বলে ফেলবো আর তুমি সেটা নিয়ে রাগ করবে।তার থেকে ভালো চুপচাপ আমরা গ্রামে চলে যাই।বাসায় গিয়ে তো তোমাকে ডিস্টার্ব করবো।
রাস্তায় না হয় তোমাকে ডিস্টার্ব নাই করলাম।
দৃষ্টিঃ তার মানে তুই কথা বলবি না তো...
আমিঃএখন আর না,
দৃষ্টি গাড়ি রাস্তার একপাশে দাড় করালো,
আমিঃএই তুমি গাড়ি দাড় করালে কেনো??
দৃষ্টি কিছু না বলেই গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে রাস্তার একপাশে দাঁড়ালো।
কি হলো মেয়েটার
আমি গাড়ি থেকে নেমে দৃষ্টির কাছে গেলাম।
আমিঃকিহলো তুমি এখানে দাঁড়ালে কেনো??
দৃষ্টিঃ আমার ইচ্ছা হয়েছে তাই দাঁড়িয়েছি।
আরে এই মেয়ে এতো রেগে গেছে কেনো
আমিঃএই তুমি কি রাগ করেছো??
দৃষ্টিঃ জানিনা
তার মানে রেগে গেছে
আমি তো কিছু করিনাই তাহলে এই মেয়ে এতো রেগে গেলো কেনো
তবে একটা বিষয় রাগলে দৃষ্টিকে সেই ডাইনি ডাইনি লাগে
চলবে
বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯
দেমাগি মেয়ের অপমান
Tags
# মাইন্ড হ্যাকিং
About শেষ গল্পের সেই ছেলেটি
মাইন্ড হ্যাকিং
Tags
মাইন্ড হ্যাকিং
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন